তাহিরপুর বড়ছড়া শুল্কস্টেশন দিয়ে শুরু হলো কয়লা আমদানী
এম.এ রাজ্জাক, :: তাহিরপুর সীমান্তের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলীর সমিতির আমদানী কারক ও শ্রমিকদের মধ্যে আবার আশার আলো দেখা দিয়েছে। করোনা ও বিভিন্ন আইনি জটিলতায় দীর্ঘদিন কয়লা আমদানী বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সর্ববৃহৎ বড়ছড়া শুল্কস্টেশন দিয়ে আবার ভারত থেকে কয়লা আমদানী শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন বড়ছড়া কাষ্টম সুপার সুদীপ্ত শেখর দাস। কাষ্টম অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী শুল্কস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে প্রথম কয়লা আমদানী হয় বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন দিয়ে। পরে ২০০৬ সালের ৫ এপ্রিল বাগলী শুল্কষ্টেশন দিয়ে চুনাপাথর আমদানী শুরু হয়। এরপর ২০১৫ সালে বড়ছড়া দিয়ে চুনাপাথর আমদানী হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চারাগাঁও দিয়ে প্রথম চুনাপাথর আমদানী হয়। ২০১৫ ও ১৬ সালের পর বড়ছড়া দিয়ে আর চুনাপাথর আমদানী হয়নি।
করোনা ভাইরাস ও আইনি জটিলতার কারণে ভারত থেকে শুল্কষ্টেশনগুলো দিয়ে কয়লা আমানী বন্ধ থাকায় কয়লা আমদানীকারক সমিতির প্রায় ৮শ আমদানীকারক এবং ৫০ হাজার কয়লা শ্রমিকের দুর্বিসহ দিন কেটেছে। বৃহস্পতিবার থেকে বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী হওয়ায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে। প্রথমদিন ভারত থেকে ৫ গাড়ী কয়লা আমদানী হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কয়লা আমদানী বাড়বে। তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ সমিতির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দোকার বলেন, করোনাকালে বেকায়দায় ছিলেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। সামান্য পরিমাণে পাথর ও কয়লা আমদানী শুরু হয়েছে বড়ছড়া ও বাগলী শুল্কষ্টেশন দিয়ে। রপ্তানীকারকরা ঠিক মতো কয়লা ও পাথর দিলে আগের মতো শুল্কষ্টেশনগুলো সচল হবে। বড়ছড়া কাষ্টম অফিসার সুদীপ্ত শেখর দাস বলেন, বৃহস্পতিবারে বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন দিয়ে ৫ গাড়ী কয়লা আমদানী হয়েছে। আশা করছি এখন থেকে প্রতিদিন গাড়ীর সংখ্যা বাড়বে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নতুন কয়লার কোন এলসি পাইনি। পুরাতন এলসির কয়লা আমদানী হচ্ছে এখন।