বার্তা ডেস্ক:জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিকমর্যাদা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের জাতীয় পতাকা আর তুলবেন না মন্তব্য করেছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। ১৪ মাস বন্দীদশা কাটিয়ে মুক্ত হওয়ার পর গত শুক্রবার প্রথম সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নতুন করে সংগ্রামের ডাক দেন মেহবুবা মুফতি। তবে তার এমন মন্তব্যকে ভারতের জাতীয় পতাকার জন্য অবমাননাকর বলে অভিযোগ করেছে বিজেপির নেতারা। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও করছেন তারা। একটানা ১৪ মাসের গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্ত হয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন এ মুখ্যমন্ত্রী। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বতিলের পর থেকে তাকে গৃহবন্দি করে মোদি সরকার।

দ্য ডন ও এনডিটিভি এবং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেল থেকে মুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে মেহবুবা বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের পতাকা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় পতাকা তুলবেন না। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনেও লড়বেন না।’ এ ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের পতাকা ফিরিয়ে আনতে পিডিপি নেত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা ভারতের জাতীয় পতাকার প্রতি প্রকাশ্য নিন্দাস্বরূপ।’ ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারায় কাশ্মীরকে বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত এলাকার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এলে তা বাতিল করা হয়। এই ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ অনুচ্ছেদ যোগ হয়েছিল ভারত ও কাশ্মীরের দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে।

এ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে কাশ্মীরের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা হয়। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির নির্বাচনী ওয়াদা ছিল এই ধারা বাতিল করা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবিতে সচেষ্ট মেহবুবা মুফতির দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। এ জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন জম্মু কশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লা। প্রায় ১৪ মাস বন্দী থাকার পর ১৩ অক্টোবর ছাড়া পেয়ে মেহবুবা ১৫ অক্টোবর আবারও এ বৃহত্তর জোটের শরিক হন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn