মৌলভীবাজার:: হাতি একটি বন্য প্রাণী। বিশালদেহী এই প্রাণীকে বনেই বেশি সুন্দর লাগে। কেননা সেটাই তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমাদের দেশের এক শ্রেণির মানুষ বর্তমানে এই বিশালদেহী প্রাণীকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করছে। মাহুত নামধারী চাঁদাবাজরা প্রকাশ্য দিবালোকে দোকান, ফুটপাত, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায় করছে এই প্রাণীকে দিয়ে। এমনকি গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও টাকা আদায় করতে বাকি রাখে না এরা বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উপজেলার পাত্রখোলা বাজারে হাতি দিয়ে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় হাতি নিয়ে টাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়। এবার দেখা গেলো উপজেলার প্রত্যন্ত সীমান্ত এলাকা পাতখোলা চা-বাগান বাজারে গেলে এ দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে দোকানে দোকানে গিয়ে হাতির শুঁড় উঁচু করে দোকানদারদের কাছ থেকে এক প্রকার জোরপূর্বক টাকা নিতে দেখা গেছে। হাতির পিঠে থাকা মাহুত জানালেন, হাতিটির মালিক উপজেলার ইসলামপুরের। আর মাহুত নিজে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে টাকা তুলে আয়-রোজগার করেন। স্থানীয় দোকান মালিক আব্দুস সাদেক, মিলন পাল, মাহবুব আলম জানান, ‘হাতি শুড় উচিয়ে দিচ্ছে, ৫ টাকা দিলে নিচ্ছে না। কমপক্ষে ১০ টাকা দিতে হচ্ছে। অনেকে নিজের ইচ্ছায় টাকা দিচ্ছে, আবার কেউ টাকা দিতে না চাইলে হাতিটি শুঁড় উঁচু করে ও বৃহৎ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করে টাকা হাতিয়ে নেয়া বন্ধ করতে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।’

স্থানীয় সংবাদকর্মী তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, নিউজের জন্য আমি ছবি তুলতে গেলে মাহুত কৌশলে হাতি দিয়ে তাড়া করায়। তাই সামনে থেকে ছবি তুলতে পারিনি। তবে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। মূলত হাতির লাইসেন্স দেয় বনবিভাগ। এটি বনবিভাগের কাজ। তবে উপজেলা প্রশাসনকে জানালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ. সিলেট এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, হাতি দিয়ে কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাণী দিয়ে টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn