বার্তা ডেস্ক :: এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরই মধ্যে ২৯০টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন। বারাক ওবামার প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সে সময় মার্কিন সেকেন্ড লেডি ছিলেন জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন। এবার তিনি ফার্স্ট লেডি হতে চলেছেন। জো বাইডেন ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে ডেলওয়ার থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। তবে জীবনে সফলতার পাশাপাশি পারিবারিক বেশ কিছু ধাক্কা সামলাতে হয়েছে তাঁকে।  ১৯৬৬ সালে নেইলিয়া হান্টারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বাইডেন। পরে সেই নারীর গর্ভে জন্ম নেয় বাইডেনের তিন সন্তান। কিন্তু তৃতীয় সন্তান জন্মের মাত্র এক বছর পর ঘটে যায় ভয়াবহ ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় বাইডেনের স্ত্রী ও কন্যার। এরপর তিন ও চার বছরের ছেলেকে বড় করে তোলার লড়াই শুরু হয় বাইডেনের। ১৯৭৭ সালে এসে জিল বাইডেনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় জো বাইডেনের। জিল আগে বিয়ে করেছিলেন। ২৪ বছর বয়সে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। সে কারণে এমন কাউকে খুঁজছিলেন, যার হাত আর কখনো ছাড়তে হবে না।

জিল পরে বলেছেন, আমরণ জো বাইডেনের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেননি। তাঁদের সন্তানরা আবারও মাকে হারাবে না। বিয়ের পর বাইডেনের ছেলেদের নিজের গর্ভের সন্তানের মতো করেই দেখেছেন জিল বাইডেন। পরে তাঁদের সংসারে মেয়ে অ্যাশলের জন্ম হয় ১৯৮১ সালে। বারাক ওবামার সময় জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার ফলে আট বছর ধরে মার্কিন সেকেন্ড লেডি হিসেবে সম্মান পেয়েছেন জিল বাইডেন। কয়েক মাস আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কনভেনশনে জো বাইডেন নিজের স্ত্রীর পরিচয় এভাবে দিয়েছিলেন, দেশজুড়ে আপনার যারা আছেন, তাদের সবাইকে বলছি- আপনাদের সেই প্রিয় শিক্ষকের কথা ভাবুন। যিনি নিজেকে বিশ্বাস করার মতো আস্থা আপনাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছিলেন। জিল বাইডেন তেমনই একজন ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, জিল বাইডেনের জন্ম ১৯৫১ সালের জুনে নিউ জার্সিতে। পাঁচ বোনের মধ্যে বড় জিল বেড়ে উঠেছেন ফিলাডেলফিয়ার উইলো গ্রোভ শহরে। প্রথমে প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় বিল স্টিভেনসনের সঙ্গে জিলের বিয়ে হয়েছিল।  ২৪ বছর বয়সে এসে বিচ্ছেদ ঘটে তার। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও কন্যাকে হারান জো বাইডেন। সেই দুর্ঘটনার তিন বছর পর বাইডেনের ভাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় জিলের। ওই সময় সিনেটর ছিলেন বাইডেন আর জিল তখনো কলেজছাত্রী। ৬৯ বছর বয়সী জিল বাইডেন কয়েক দশক কাটিয়েছেন শিক্ষকতা পেশায়। দুটি বিষয়ে স্নাতোকোত্তর করেছেন তিনি। পরে ইউনিভার্সিটি অব দিলাওয়ার থেকে শিক্ষায় ডক্টরেট করেন।  ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসের আগে তিনি একটি কমিউনিটি কলেজ, একটি সরকারি স্কুল ও কিশোরদের একটি  মানসিক হাসপাতালে শিক্ষকতা করেছেন।  ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি দিলওয়ারের ব্রান্ডিওয়াই হাইস্কুলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।-ডেইলি মেইল

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn