বার্তা ডেক্সঃঃঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ বছর পূর্তি উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্মৃতিভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। রোববার বিকালে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাস্কর্য শিল্পী হামিদুজ্জামান খান। ভাস্কর্যের ডিজাইন সম্পর্কে প্রখ্যাত স্থপতি হামিদুজ্জামান খান বলেন, যেহেতু এটা একটা পুরোনো স্কুল এবং স্কুলটির শ্রেণিকক্ষ এখনো আসামী টিনসেড আকৃতিরই রয়েছে, তাই আমরা সিম্বোলাইজ করে ফলকটি করেছি। শিক্ষা-দীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কলমের নিবের আকৃতি এবং আসামী নমুনা এই ফলকে প্রতিফলিত হয়েছে। উপরে লেখা দিয়েছি ১২৫ বছরের ১২৫, সেটি সব সময় উজ্জ্বল থাকবে।
২০১২ সালের ২১ ও ২২ ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলার সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যাপীঠ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ বছর পূর্তি উৎসব হয়। ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টায় স্কুলঘন্টা বাজিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে কোরআন, বাইবেল ও গীতা পাঠ শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়। প্রবীণ জুবিলিয়ান ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরী জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিদ্যালয়ের কৃতী প্রাক্তন ছাত্ররা শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ান।
শোক প্রস্তাব গ্রহণ শেষে বিদ্যালয়ের অব. শিক্ষক মু. আব্দুর রহিম (বর্তমানে প্রয়াত) কর্তৃক নৈতিকতা ও আদর্শের উপর ক্লাস গ্রহণ করা হয়। এরপর ১২৫ তম বর্ষপূর্তির স্মৃতিফলক উন্মেচন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী। পরে হয় অন্যান্য অনুষ্ঠান। উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রথমে একটি ভাস্কর্যের ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি পরে পরিবর্তন করা হয়। নির্মিত ফলকে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ বছর পূর্তি উৎসবে যারা রেজিস্টেশন করেছিলেন, তাঁদের সকলের অর্থা ১৭৩৭ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর নাম পিতলের প্লেটে খুদাই করে লিখা হয়েছে। ভাস্কর্য শিল্পী হামিদুজ্জামান খান বললেন, ২০১২ সাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সাবেক শিক্ষা সচিব, পিএসসি’র সদ্য অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক আমার সঙ্গে এই ফলকটি করার জন্য যোগাযোগ রক্ষা করছেন। প্রথম দিকে ফলকটির ব্যয় নির্বাহের অর্থের সংস্থান হয় নি। পরে তাঁর (ড. সাদিকের) প্রচেষ্টায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর অর্থ বরাদ্দ করলে কাজ শুরু করা হয়।
ফলকের গায়ে লিখে রাখা হয়েছে, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ, প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৮৭। ১২৫ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে জুবিলী ফলক (১৮৭৭-২০১২), পরিকল্পনা: ১২৫ বছর পূর্তি উ’সব কমিটি, তত্ববধানে: জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ। বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলকে শিল্পী হামিদুজ্জামান খান এঁর স্বাক্ষর দিয়ে ২১ নভেম্বর ২০২০ তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। ড. মোহাম্মদ সাদিক এই ফলক প্রসঙ্গে বললেন, যে কোনও স্মৃতিফলক হচ্ছে নশ^র পৃথিবীতে সামান্য এক অবিনশ^র আকাক্সক্ষাকে জাগিয়ে রাখা। এই জুবিলী ফলক আগামী দিনের জুবিলিয়ানদের কাছে এ কালের জুবিলীয়ানদের একটি বার্তা মাত্র- ‘এই কথাটি মনে রেখ…

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn