ছাতক::  ছাতকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে আত্মত্যার পথ বেছে নিয়েছে কুলসুমা বেগম (৩০) নামের এক উচ্চ শিক্ষিত যুবতি। বসত ঘর সংলগ্ন একটি আম গাছের ডালের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। কুলসুমা বেগম ছাতক সিমেন্ট কারখানার ইঞ্জিনিয়ারিং টিলার ৬ নং বাসার বাসিন্দা কারখানার সমবায় সমিতির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের কন্যা। বুধবার রাতে প্রতিদিনের মতো রাতের খাবর থেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে কুলসুমা। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায় করে মেয়েকে নিজ কক্ষে না দেখে তাকে খুঁজতে থাকেন বাবা সিরাজুল ইসলাম। এক পর্যায়ে বসতঘর সংলগ্ন একটি আম গাছের ডালের সাথে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। খবর পেয়ে ছাতক থানার এসআই আতিক ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় পৌর কাউন্সিলর আখলাকুল আম্বিয়া সোহাগ ও সুদীপ দে উপস্থিত ছিলেন।
সিমেন্ট ফ্যক্টরি এলাকার আব্দুল হাই নামের এক ব্যক্তি জানান, (এমএ) পাস করা কুলসুমা পরিবারের দুঃখ ঘুচাতে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে চাকরীর জন্য নিয়মিত আবেদন করতে থাকে। অবসর প্রাপ্ত পিতার পরিবারে বোঝা না হয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করতে সে চাকরীর জন্য হন্য হয়ে উঠে। কিন্তু ভাগ্য তাকে সহায়তা না করায় এক পর্যায়ে তার সরকারী চাকুরীর বয়সসীমা পেরিয়ে যায়। একের পর এক আবেদন করে চাকরি না হওয়ায় হতাশাগ্রস্থ্য হয়ে পড়েন কুলসুমা। অপর দিকে উপযুক্ত পাত্রের হাতে কুলসুমাকে পাত্রস্থও করতে পারছিলেন না তার পরিবার। এসব ঘটনায় মান-অভিমানে উচ্চ শিক্ষিত কুলসুমা বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিমউদ্দিন আত্মহত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn