বার্তা ডেক্সঃঃআসন্ন দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে এই দুই দলের দলীয় প্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।  উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানায়ায়, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় বিশ্বজিৎ রায়, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক শফিকুল ইসলাম এবং বিএনপির দলীয় প্রার্থী ইকবাল হোসেন চৌধুরী, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল কাইয়ূম মনোনয়ন পত্র মনোনয়ন পত্র জমা দেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।

আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের একাধিক নেতা কর্মীর সাথে আলাপ করলে না প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, আমাদের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জীবদ্দশায় দলে কোনো বিভাজন ছিল না। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন দলের সকল নেতা কর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। যার কারণে বিএনপির ভোট ব্যাংকেও আমরা ভাগ বসিয়েছি। কিন্তু গত উপজেলা নির্বাচন থেকে গ্রুপিং প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। স্থানীয় সাংসদ জয়া সেনগুপ্তা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়কে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিলে দলের ত্যাগী নেতা কর্মীরা মেনে নেননি, প্রদীপ বিরোধীরা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায় কে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেন। দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য তারা বর্তমান মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার সহ তাদের সহযোগীদের দায়ী করেন। এর পর থেকে দলীয় কোনা অনুষ্ঠানে তাদের কে একসাথে দেখা যায়নি।

প্রদীপ অনুসারীরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করেছেন প্রদীপ রায়ের ছোট ভাই, পৌরসভার প্যানেল মেয়র দিরাই কলেজের সাবেক ভিপি বিশ্বজিৎ রায়কে। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান মেয়র মোশাররফ মিয়াো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলামও মাঠে রয়েছেন। সব মিলিয়ে বিদ্রোহীৌদের  কারণে দলীয় প্রার্থী অনেকটা বেকায়দায় আছেন।  অপরদিকে বিএনপি তরুণ আইনজীবি ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে মনোনয়ন দিলেও দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সাবেক দুই বারের কমান্ডার আব্দুল কাইয়ূম হাল ছাড়েননি। জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, তারা তাদের নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,  সাবেক সাংসদ নাছির উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দিয়েছেন। তাদের দলে কোনো বিভাজন নেই। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এছাড়া জাতীয় পার্টির (লাঈল) অনন্ত মল্লিক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (খেজুর গাছ) হাফিজ মাওলানা লোকমান আহমদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (মােবাইল) রশিদ মিয়া  মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।  আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পৌর নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছে ২১ হাজার ৩৭৯ জন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn