সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাপী অবাধ তথ্যপ্রবাহের কারণে সংবেদনশীল তথ্যের অযাচিত প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ, অপরাধ কার্যক্রমে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, বিভিন্ন ধরনের সম্ভাব্য অপতৎপরতা রোধসহ বাস্তব প্রয়োজনে ২০১৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনটিএমসির যাত্রা শুরু হয়। সংস্থাটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে যেকোনো টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহারকারীর পাঠানো বার্তা ও কথোপকথন প্রতিহত, রেকর্ড, ধারণ বা এ সম্পর্কিত তথ্যাদি সংগ্রহে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সহায়তা দিয়ে থাকে। সূত্র জানায়, এনটিএমসির অপারেশনাল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সালে ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টরসহ ৪৯টি সরঞ্জাম টিওঅ্যান্ডই-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর ক্রয়ের জন্য গত ৩ এপ্রিল প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর ক্রয়ের জন্য ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট ৬৮১৩ (যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম) কোডে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া আছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টরটি ক্রয়ের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নে এর পরিধি ছড়িয়ে পড়েছে। অবাধ তথ্যপ্রবাহ রোধ, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা জোরদার, নানাবিধ সম্ভাব্য জঙ্গি তৎপরতা রোধসহ বাস্তবিক প্রয়োজনে এনটিএমসির অপারেশনাল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি অর্থায়নে ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টরটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পিপিএ-২০০৬ এর ধারা ৬৮(২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn