মিঠু হালদার –

 দীর্ঘ সংগীতজীবনে বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লা। তবে এবারের সম্মাননা বা পুরস্কারের বিষয়টি একটু ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ব্যারিনু ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’ রুনা লায়লাকে ‘ডিস্টিংগুইশ সেলিব্রেটি লিজেন্ড অ্যাওয়ার্ড’এর জন্য মনোনীত করেছে। বাংলায় যাকে বলা হচ্ছে, ‘বিশিষ্ট তারকা কীর্তিমান পুরস্কার’। ‘ইন্সপায়ারিং ওম্যান ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ইন দ্য গ্লোবাল ইকোসিস্টেম’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে ২৫ মে রুনা লায়লার হাতে সম্মানজনক এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

রুনা লায়লা জানান, ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউনাইটেড নেশনস প্লাজায় ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন ক্রিয়েটিভিটি এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ইন দ্য গ্লোবাল ইকোসিস্টেম’ অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ, উপমহাদেশ ও বিশ্ব সংগীতে অবদান এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও নারী উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এ ব্যাপারে রুনা লায়লা বলেন, ‘প্রতিটি সম্মাননাই এক ধরনের স্বীকৃতি। সে হিসেবে প্রতিটি সম্মাননাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এত বছর যেসব পুরস্কার পেয়েছি, প্রতিটিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এটা আরও বেশি সম্মানের। কারণ, এটি দেওয়া হবে জাতিসংঘে। শুধু আমার নয়, এটা পুরো বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বলে মনে করছি। একজন বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করছি। বিশেষ করে সংগীতের মানুষদের জন্য বিষয়টি আরও আনন্দের।’

সংগীত, শিল্পচর্চা এবং নারী উন্নয়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে তিনি এই সম্মাননা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ারে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে রুনা লায়লার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আয়োজক কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমের রুনা লায়লাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

রুনা লায়লা বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল গায়িকা হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তাঁর সুনাম আছে। রুনা লায়লা বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দী, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনীয়, ফরাসি, ইতালীয় ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন। ২০১৫ সালে রুনা লায়লা তার সংগীত জীবনের পাঁচ দশক পূর্ণ করেছেন। ১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশী’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn