তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প এলাকার লাকমা ছড়া দিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন চুনাপাথর পাচাঁর করা হচ্ছে। গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভারত থেকে প্রায় ১শ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে ট্রলি যোগে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত পাটলাই নদীতে নিয়ে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করা হয়। কিন্তু এব্যাপারে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিজিবি। অন্যদিকে চুনাপাথর পাচাঁরের খবর পেয়ে ভারতীয় বিএসএফ এসে ধাওয়া করলে চোরাচালানীরা পালিয়ে আসে এবং আরো প্রায় ৫০টন চুনাপাথর পাচাঁর করতে না পেরে লাকমা গ্রামের বিভিন্ন চোরাচালানীদের বাড়িঘরের ভিতর মজুদ করে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানায়,বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পে সোর্স পরিচয়ধারী দুধের আউটা গ্রামের নুরজামালের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া ও বালিয়াঘাট গ্রামের রাশিদ মিয়ার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক প্রতি ট্রলি চুনাপাথর থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১৫০টাকা,বড়ছড়া বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৮০টাকা,তাহিরপুর থানার নামে ১০০টাকা,কাস্টম অফিসের নামে ১০০টাকাসহ সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে মোট ৫০০টাকা চাঁদা উত্তোলন করেছে। আর তাদের নেতৃত্বে লাকমা সীমান্তে ২০ থেকে ২৫জনকে নিয়ে গড়ে তুলা হয়েছে একটি চোরাচালানী সিন্ডিকেড। এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আজহার বলেন,আমি জানতে পেরেছি বিজিবির নামে নয় পুলিশের নামে চাঁদা উঠানো হচ্ছে,এছাড়া আব্দুর রাজ্জাকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে আর জিয়াউর রহমান জিয়াকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন,বিজিবির সোর্স জিয়াকে আমি চিনি না,আর এ বিষয়ে আমি কিছুই যানি না,তবে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিনের সরকারী মোবাইল নাম্বারে বার বার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn