ঢাকা: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ও বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা শফিউল আলম প্রধান ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর আসাদগেটে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শফিউল আলম প্রধান কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। রোববার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাক দেন। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। এ অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে শফিউল আলম প্রধানের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী রেহানা প্রধান, মেয়ে ব্যারিস্টার তাহমিয়া প্রধান, ছেলে রাশেদ প্রধানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শফিউল আলম প্রধান এর আগে একাধিকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানা গেছে, রোববার জোহরের নামাজের পর আসাদ গেইটে দলের কার্যালয়ের সামনে শফিউল আলম প্রধানের প্রথম নামাজে জানাজা হবে। বাদ আসর ইকবাল রোড জামে মসজিদে আরেক দফা জানাজার পর মরদেহ রাখা হবে হিমঘরে। সোমবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজার পর বিকালে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে। আর মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে জড়ো হচ্ছেন জোটের নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত হয়ে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। শফিউল আলম প্রধান ১৯৫০ সালে পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তমিজউদ্দিন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করা শফিউল আলম প্রধান ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে ১৯৭৪ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে সাতজন ছাত্রকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকা-ে অভিযুক্ত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে তিনি ছিটকে পড়েন। বিচারে শফিউল আলম প্রধানের কারাদণ্ড হয়েছিল। পরে জিয়াউর রহমানের সময়ে তিনি মুক্তি পান এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করেন। শফিউল আলম প্রধান ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn