সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পদত্যাগ দাবি করে বলেছেন, ১৫ লাখ বিড়ি শ্রমিকের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি না করে অর্থমন্ত্রী বিড়ি তুলে দিতে চাইছেন। তিনি গরীবদের টার্গেট করেছেন। যদি তিনি গরীবদের টার্গেট করেন তাহলে আমরা অর্থমন্ত্রীকে টার্গেট করবো। রোববার বিকালে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুই বছরের মধ্যে অর্থমন্ত্রীর বিড়ি শিল্প তুলে দিতে চান এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবিতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ফজলে হোসেন  বাদশা বলেন, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে বলতে চাই আমি বিড়ি শ্রমিকদের পক্ষে। বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই আমি বিড়ি শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলবো। বিড়ি শ্রমিকরা মুক্তিযুদ্ধে পক্ষে  ছিলেন। এরা কেউ রাজাকার না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র  মেনে নেয়া হবে না। কারণ এখন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে পক্ষে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি  বলেন,  আপনি তো তামাক বন্ধের জন্য কিছু বলছেন না। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে কোমল মতি ছেলে গুলো সিগারেট খাচ্ছে। সেটা বন্ধের কথা বলছেন না। অন্য দিকে বৃটিশ আমেরিকার দাদন নিয়ে উর্বর জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নীতিমালার বাইরে এই কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নীতি বাইরে বিড়ির উপর কোনো করারোপ করা হলে সেটা রুখে দাঁড়ানো হবে। অর্থমন্ত্রী গরীব মানুষদের পছন্দ করছেন না। সরকার থাকবে গরীব মানুষের আর অর্থমন্ত্রী গরীব মানুষদের বিরুদ্ধে থাকবে সেটা হতে পারে না। মনে রাখতে হবে গরীবরাই এদেশ গড়ে তুলেছেন। গরীবরা বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় বলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, সংসদ সদস্যরা বিড়ি শ্রমিকদের পক্ষে আছে। আমিও সংসদ সদস্য হিসেবে এটাই বলতে চাই যে সংসদ সদস্যরা বিড়ি শ্রমিকদের পক্ষে রয়েছে। তিনি সরকারকে বৈষম্যমূলক শুল্ক তুলে নেয়ার আহবান জানান।

এর আগে সকালে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ও বৈষমূলক শুল্কনীতির প্রতিবাদে এনবিআরের সামনে বিড়ি শ্রমিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। বিকেলের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক সুজিত নন্দী, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রফেসর মেজবাহ কামাল, অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চেয়ারপারসন আরডিসি। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। আরও বক্তব্য রাখেন, বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, বরিশাল বিড়ি শ্রমিক ফেডাশনের সভাপতি লোকমান হোসেন ও  পাবনা জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি হারিক হোসেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn