চাকরির নামে তরুণীদের দিয়ে ‘অশ্লীল’ ব্যবসার ফাঁদ!
টেলি শপিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে ‘অশ্লীল’ ব্যবসার ফাঁদ শেখানো হচ্ছে। এমনকি সেক্স চ্যাটিংয়ের ফাঁদ পাতারও ফর্মুলা দেওযা হয়ে থাকে! নামী সংবাদপত্রে টেলি শপিংয়ের বিজ্ঞাপন দেখে এমনটা কল্পনাও করতে পারেননি ভারতের একদল তরুণী। অনলাইন শপিংয়ের জন্য টেলি কলারের প্রশিক্ষণ নিয়ে উপার্জনের আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কয়েকদিন প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেই তাঁদের ভুল ভাঙে। ওই তরুণীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ৪ মহিলা-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের কলকাতার বারাসত থানা পুলিশ।
প্রশিক্ষণ নিতে আসা ওই যুবতীদের অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার আশায় তাঁরা বারাসতের ডাকবাংলো মোড়ের এক অফিসে গিয়েছিলেন। কথা ছিল এক সপ্তাহ ট্রেনিংয়ের পর টেলি শপিংয়ের কাজে যোগ দেবেন যুবতীরা। কথামতো নাকি এক সপ্তাহ ধরে প্রশিক্ষণও হয় তাঁদের। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষ হতেই বদলে যায় প্রতিশ্রুতি।
অভিযোগ, সোমবার প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়া সব মেয়েদের হাতে অবাঙালি বেশ কিছু লোকের মোবাইল নম্বরের তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলে দেওয়া হয়, ফোন করে অনলাইনে ‘সেক্স চ্যাট’ করার জন্য উৎসাহিত করে, বিনিময়ে টাকা তুলতে হবে।
এই ঘটনার পরেই বেঁকে বসেন ওই তরুণীরা। জমা দেওয়া নিজেদের ডকুমেন্ট ফেরতের জন্য ৪ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষাও করেন। শেষমেশ উপায় না দেখে বারাসত থানায় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এর পর বারাসত থানার পুলিশ তদন্তে নেমে চাকরীপ্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সংস্থার মালিক দেবাশিষ ঘোষসহ ওই সংস্থার সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত চারজন মহিলাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ৯ দিন আগে বাগুইআটির বাসিন্দা দেবাশিষ ঘোষ বারাসতের ডাকবাংলো মোড়ে একটি বাড়ির দোতলায় সেক্স পার্লারের ব্যবসা করার জন্য অফিস ভাড়া নেয়। ধৃতদের আজ কলকাতার বারাসাত আদালতে তোলা হবে।
সূত্র: এবেলা ও সংবাদ প্রতিদিন