জগন্নাথপুরে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেবার চেষ্টার অভিযোগ
জগন্নাথপুরে ১২ বছর বয়সের এক স্কুলছাত্রীকে বখাটের কাছে বাল্য বিয়ে দিতে সমাজ পতিদের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নির্যাতিত পরিবার। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোন কাজ হচ্ছে না। বরং নির্যাতিত পরিবারের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে চলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলা পাটলি ইউনিয়নের কচুরকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, কচুরকান্দি গ্রামের দিনমজুর সুহেল মিয়ার ষোড়শি কন্যা সালমা বেগম (১২) স্থানীয় রসুলগঞ্জ আবদুল কাদির মেহেরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আছদ্দর আলীর বখাটে ছেলে সাইদ হোসেন দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে স্কুলছাত্রী সালমা বেগমকে উত্যক্ত করে আসছে। তার যন্ত্রনায় সালমার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় তার অসহায় পরিবার। মেয়েকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করলেও কোন কাজ হয়নি। বখাটে সাইদ সালমার ঘরে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারবাহিকতায় গত প্রায় এক মাস আগে দিন দুপুরে বখাটে সাইদ সালমাকে জোরপূর্বক ধরে গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সালমার চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন এসে তাকে বখাটের কবল থেকে রক্ষা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি নিস্পত্তির লক্ষে গ্রামে অনেকবার শালিস বৈঠক বসলেও কোন সমাধান আসেনি। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত পরিবারের দিনমজুর সুহেল মিয়া বলেন, প্রকাশ্যে আমার মেয়েকে বারবার ধরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলেও তাদের কোন অপরাধ নেই। উপরোন্ত শালিস বৈঠকের মুজিবুর রহমান, চগন মিয়া, আবদুল খালিক, ইন্তাজ আলী, ঠাকুর আলী, সুন্দর আলীসহ সমাজপতিরা রায় দেন আমার মেয়েকে বখাটের কাছে বাল্য বিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমার মেয়ের ইজ্জতের মূল্য ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। আমি তাদের রায় না মানার কারণে আমার ঘরবাড়িতে হামলাসহ নানাভাবে আমাকে হয়রানী করা হচ্ছে। তাদের ভয়ে আমরা সারাক্ষণ আতঙ্কিত থাকি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আমাদের উপর অত্যাচার আরো বেড়েছে। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। পরে নাকি আদালতে মামলা হয়েছে।