সিলেটের হাওরাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরো বেশী আউশ ও আমন উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, সিলেট অঞ্চল কৃষির অপার সম্ভাবনাময় এলাকা। বিশেষ করে পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনা গেলে কৃষকগণ এতে বেশী উপকৃত হবেন। রোববার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে হাওরে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতির প্রভাব এবং আউশ ও আমনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন। সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি করণ প্রকল্প খামার বাড়ি ঢাকা এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় আরো জানানো হয়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকদের স্বার্থে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সার, বীজ কীটনাশক সহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ কৃষকদের হাতের নাগালে রাখা হয়েছে। এছাড়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কৃষকদের যে কোন সমস্যায় সহযোগিতা করছেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আলতাবুর রহমান বলেন, কৃষি এবং কৃষক একই সূত্রে গাঁথা। কৃষির উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতা ও নিষ্টার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং এর অতিরিক্ত পচিালক কৃষিবিদ ড. আলহাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষিতেও আধুনিকতা ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেই সাথে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ওহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: নূর হোসেন মিঞা, সিলেটের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোঃ সালাহ উদ্দিন, সুনামগঞ্জের উপ পরিচালক জাহেদুল হক, হবিগঞ্জের প্রশিক্ষণ অফিসার বশির উদ্দিন ও মৌলভীবাজারের উপ পরিচালক মো: শাহজাহান। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন, এবিএম জালাল উদ্দিন এবং গীতা পাঠ করেন, বিজয়কৃষ্ণ হালদার। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সিলেট অঞ্চলের কৃষি সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn