মোগাদিসুতে গাড়িবোমা হামলায় ১১ জন নিহত, রেস্তোরাঁয় জিম্মি ২০
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর একটি হোটেলে এক আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতের এ ঘটনার পর অন্যান্য হামলাকারীরা পাশের একটি রোস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে সেখানে অন্তত ২০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি। মোগাদিসুর তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় ওই পিজা হাউজটি যে এলাকায় অবস্থিত তা পুরো ঘিরে রেখেছে পুলিশ। পিজা হাউসটির পাশেই আক্রান্ত হোটেলটির অবস্থান। পশ হোটেল নামের এই হোটেলটিতে মোগাদিসুর একমাত্র ডিস্কোথেকটি অবস্থিত। জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাব হামলায় দায় স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ মেজর ইব্রাহিম হুসেইন রয়টার্সকে বলেছেন, “ওই যোদ্ধারা এখনও পিজা হাউজটির ভিতরে অবস্থান করছে এবং ২০ জনের মতো লোককে জিম্মি করে রেখেছে। তাদের মধ্যে কতোজন বেঁচে আছে আর কতোজন মারা গেছে তা আমরা জানি না।” এর আগে পুলিশ জানিয়েছে, পশ হোটেলে চালানো আত্মঘাতী হামলায় যে ১১ জন নিহত হয়েছে তাদের অধিকাংশই নারী এবং তারা হোটেলটির কর্মচারী। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা রেস্তোরাঁটিতে হামলা চালানোর আগে এক আত্মঘাতী বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে পশ হোটেলের প্রবেশ পথে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
মেজর হুসেইন বলেন, “সন্দেহ করা হচ্ছে, পিজা হাউজটির সামনে একটি গাড়িবোমা পার্ক করা আছে, এর পাশাপাশি স্নাইপাররা অবস্থান নিয়ে থাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য রেস্তোরাঁটিতে অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হোটেলটি থেকে আহতদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া গেছে কিন্তু নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে।
হামলার দায় স্বীকার করে আল শাবাবের সামরিক মুখপাত্র আব্দিয়াসিস আবু মুসাব রয়টার্সকে বলেছেন, “গাড়িবোমা নিয়ে পশ হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক মুজাহিদ (যোদ্ধা) শহীদ হয়েছেন, ওই হোটেলটি একটি নৈশক্লাব। অভিযান অব্যাহত আছে। ২০১১ সালে আফ্রিকান ইউনিয়নের সেনারা আল শাবাব বিদ্রোহীদের মোগাদিসু থেকে হটিয়ে দেয়, কিন্তু এখনও দেশটির অধিকাংশ এলাকা বিদ্রোহী জঙ্গিগোষ্ঠীটির নিয়ন্ত্রণে আছে।