দোয়ারার পুত্রবধু ও শাশুড়ীকে ধর্ষণ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি
আবুল কাশেম রুমন –
দোয়ারা বাজারের দেওয়ান নগরে ৩ সন্তানের জননী পুত্রবধু মাজেদা বেগম (২৬) কে শারীরিক ধর্ষণের পর শাশুড়ি সোনামালাকেও ধর্ষণ করেছে পাষ-রা। ঘটনাটি বিগত ৭ মার্চ রাত ১ টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার দেওয়ান নগর গ্রামে সংঘটিত হয়। থানায় রুজুকৃত মামলার এজাহার বিবরণে জানা গেছে, ঘটনার প্রায় দেড় দু’মাস পূর্বে দেওযান নগর গ্রামে নুর জাহান বেগম নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দলাদলির কারণে আসামী আজাদ মিয়ার চাচাত ভাই আব্দুস ছমাদ বাদী হয়ে গ্রামের প্রায় সব মানুষকে আসামী করে থানায় খুনের মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ধর্ষিতা মাজেদা বেগমের বাপ চাচাসহ স্বজনরা আসামী হওয়ায় গ্রাম পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগে আসামী আজাদ মিয়া (২৭) তার সাংঙ্গ পাংঙ্গদের সাথে নিয়ে অস্ত্রে মুখে মাজেদাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় মাজেদা বেগম প্রাণ বাচাতে জোর চিৎকার দিলে শাশুড়ি সোনামালা বেগম এগিয়ে এসে ধর্ষণকারীকে বাধা দিলে আসামী কামাল (২৫) চোখের সামনে সোনামালাকে ধর্ষণ করে ফেলে। এতে তারা সকলে আর্ত চিৎকার শুরু করলে আশপাশের মহিলারা এগিয়ে গেলে ধর্ষণকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ধর্ষিতা মহিলা মাজেদাকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মাজেদা বেগম বাদী হয়ে দোয়ারা বাজার থানায় ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী আইনে আসামী করে মামলা রুজু করেন। মামলা নং-০৫,তারিখ: ১৬ মার্চ ২০১৭ইং। এদিকে থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে ধর্ষিতা মাজেদাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে দোয়ারা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হকের কাছে মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় বস্তু জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেওয়ান নগর গ্রামে নুরজাহান নামীয় মহিলা খুন হন। ওই মামলার স্বাক্ষীরা পুত্রবধু মাজেদা বেগমের মামলার আসামী হওয়ায় মাজেদা ও তার শাশুড়ি সোনামালা ধর্ষণ ঘটনার শিকার হওয়ায় উভয় ঘটনাটি সুষ্ট তদন্তের স্বার্থে বিগত ২৪ মার্চ ২০১৭ ইং তারিখে এ দুটি মামলা সুনামগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)’র কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। সে জন্য ধর্ষিতা মাজেদার মামলাটি ও জেলা ডিবি তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে। তাছাড়া আসামীরা মাজেদাকে প্রকশ্যে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে ওসি এনামুল হক বলেন, যখনই হুমকি দেওয়া হবে তখনই বাদী পক্ষ থানাকে জানালে সাথে-সাথে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।