তুমি যদি রাজি থাকো ওই হিমালয় দিব পাড়ি। তোমার কোলে মাথা রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারি। এ জনমে তোমায় নাই বা পেলাম। পর জনমে তো তোমায় পাব। তাই না পাওয়ার বেদনায় দুজনে পাড়ি দিয়েছে অজানার দেশে। হায়রে প্রেম। হায়রে ভালবাসা। লাইলি-মজনু ও শিড়ি-ফরহাদ এর প্রেমকেও হার মানিয়েছে তারা। ভালবাসার মিলন না হওয়ার বেদনায় নওগাঁর মান্দায় একই রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার চকরাজাপুর গ্রামের গোদাবিলা নামক বিলের মাঝখানে একটি আম গাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে গোলাম রাব্বানী (২২) ও মৃত মকবুল সরদারের মেয়ে তসলিমা আক্তার (১৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলাম রাব্বানী উপজেলার সাতবাড়িয়া টেকনিকেল বিএম কলেজ থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এবং তসলিমা আক্তার এনায়েতপুর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রার্থী। তারা দুজনে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। আর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দুজন বিয়ে করতে সম্মত হয়। বিষয়টি ছেলের পরিবারকে জানানো হয়। কিন্তু মেয়ের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় প্রেমিক গোলাম রাব্বানীর পরিবার বিয়েতে অসম্মত হয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। আরোও জানা যায়, মঙ্গলবার তসলিমা তার মা’র সাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে কোনো এক সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাড়ির পাশে গোদাবিলা নামক বিলের মাঝখানে একটি আম গাছের ডালে রশির দু’মাথায় গোলাম রাব্বানী ও তসলিমা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

বুধবার ভোর রাতে তাসলিমার মা খোদেজা বেগম মেয়েকে খোঁজাখুজি করেন। বাড়ির বাহিরে এসে দেখেন বিলের মাঝে আম গাছে দুজনে ঝুঁলে আছে। মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের পরিবার থেকে মেয়েকে অনত্র বিয়ে দেয়ার কথা হচ্ছিল। ক্ষোভে তারা আত্মহত্যা করেছেন। সকালের স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn