সিলেট : নিজ বলয় বড় করতে অযোগ্য, অশিক্ষিত ও বহিরাগতদের দিয়ে কমিটি অনুমোদন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমনের উপর। ছাত্রদলের সভাপতি হয়েই তিনি গ্রুপিং রাজনীতির শুরু করেন। নিজের গ্রুপ বড় করতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিজ বলয়ের মাঝে পদবী বণ্টন করেন। মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে অছাত্র ও বহিরাগতদের দিয়ে কমিটি অনুমোদনসহ গঠনতন্ত্র বিরোধী নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পদবঞ্চিত ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতারা। এবার অভিযোগ উঠেছে আলতাফ হোসেন সুমনের নিজ এলাকা সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে। এ কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়- মোঃ আবু শাইদ শাহীনকে। ভোটার আইডি অনুযায়ী তার পিতার নাম- মো. আব্দুল হাসিম ও মাতার নাম: নেহার বেগম। কিন্তু ছাত্রদলের সিভিতে তার প্রদানকৃত সার্টিফিকেটে নাম দেখা যায়- মোঃ শাহীন আহমদ, পিতা- আকবর আলী, মাতা- ফাতেমা বেগম। ভোটার আইডি ও এসএসসি সার্টিফিকেটে মোঃ আবু শাইদ শাহীনের নাম, পিতা ও মাতার নামের কোন মিল নেই। কাজেই স্পষ্ঠ বুঝা যাচ্ছে- শাহীন আহমদ নামে অন্য কেউর সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে নিজের পদবীর জন্য তা ব্যবহার করেছেন।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমনও তার বলয় বড় করতে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়েই কোন যাচাই বাছাই না করে কমিটিতে শাহীনকে আহ্বায়ক করে দেন। এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ আবু শাইদ শাহীন বলেন, তিনি বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত আছেন। আর ২০০৫ সালে এসএসসি পাশ করেছেন। একজন মানুষের ভোটার আইডি কার্ড ও সার্টিফিকেট আলাদা আলাদা নাম, দুজন পিতা ও দুজন মাতা হয় কীভাবে, তিনি কোন আইডেন্টিফাই ব্যবহার করছেন এমন প্রশ্নের কোন জবাব তিনি না দিয়েই ফোন কেটে দেন। এরপর বারবার ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন বলেন, আমি এ ঘটনার ব্যাপারে অবগত ছিলাম না। এখন জেনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn