ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর করা ধর্ষণ মামলার ঘটনায় পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সাময়িকভাবে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানের পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিতে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান ও আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাফিয়া সুলতানা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানাতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং মামুনকে পরিষদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই তদন্ত যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে জন্য মামুনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সে কোনো দায়িত্বে নেই এখন। পরিষদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদ গণমানুষের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। নারীর প্রতি বৈষম্য ও নিপীড়ন দমন এবং নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র অধিকার সব সময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা নিরূপণে এবং সুষ্ঠু ন্যায়বিচারের স্বার্থে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয় নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn