• বজলুল এম খছরু (ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)-

সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলে একটা নীরব দূর্ভিক্ষ চলছে। প্রতি দিন শত শত মানুষ তাদের সারা জীবনের ভিটা বাড়ি ছেড়ে কাজের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে। সরকারীভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে ভি,জি,এফ সহ অন্যান্য রিলিফ দেওয়া হলেও তালিকা তৈরিতে অনিয়মের খবর নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের জন প্রতিনিধিরা নিজ আত্মীয় স্বজন, নিজ বলয়ের লোকদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। একই পরিবারে কয়েকজন কার্ড পেলেও, যাদের তদবির নাই তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। বাইরে থেকে অনেকেই সাহায্যের হাত প্রসারিত করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রান নিয়ে সুনামগঞ্জে আসলেও তারা সিলেট সুনামগঞ্জ রাস্তার পাশে বা উপজেলা সদরের পাশের গ্রামগুলোতে ত্রান বিতরন করে ফেইসবুক বা মিডিয়াতে প্রচার করে চলে যাচ্ছেন তাতে করে একই মানুষ সাহায্য পেলেও হাওরের ভিতরের মানুষের মানবেতর অবস্থার কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা। ব্যাক্তিগত বা সাংগঠনিক ভাবে কেউ সাহায্য করতে চাইলে “হাওর বাচাও, সুনামগঞ্জ বাচাও আন্দোলনের ” সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে আমরা নি:স্বার্থভাবে সহযোগীতা করব। সুনামগঞ্জের ফসলহারা মানুষদের আগামি এক বছর কোন কর্ম সংস্থান নাই তাই আপনারাও আমাদের সাথে সরকারকে বলেন হাওর, বিলগুলো এক বছরের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হউক।  আসুন বলি সবার উপরে মানুষ বড়। তাদের আগে বাচতে দিন।

এন,জি,ও দের কিস্তি আদায়, খাঁড়ার ঘা

এখব শুরু হয়েছে আরেক উতপাত। হাওর এলাকায় এমনি মানুষ তার খাদ্যের জোগার করতে পারছেনা সেখানে আবার এন,জি,ও দের কিস্তি আদায়ের জন্য তাগিদ। আমাদের ফ্রেন্ড তালিকায় হাইকোর্টের অনেক আইনজীবী আছেন। দয়া করে একটা রিট করে আগামি ফসল উঠা পর্যন্ত এন,জি,ও দের কিস্তি আদায়ের উপর একটা স্তগিতাদেশ নিয়ে দেন।  আমাদের প্রিয় মানুষ যিনি সব সময় গরীবের জন্য লড়েন সেই ড,কামাল হোসেন সাহেবকে অনুরুধ করব এই ফসলহারা গরীব মহিলাদের কিস্তি আদায়ের উপর একটা রিট করে দিন। উনি আমাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তোবারক ভাইকে বলব বিষয়টি নিয়ে স্যারের সাথে আলাপ করেন। আপনি বললে আমি কথা বলব।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn