পাকিস্তান সৃষ্টিতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর সেমিনারে তিনি এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই বঙ্গবন্ধু প্রথমে পাকিস্তান এবং পরে বাংলাদেশ এই দু’টি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই আপনারা ইতিহাস পাবেন। মূলত ভাষণটি ছিলো ২৩ মিনিটের। আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো সেময় মাঠে উপস্থিত ছিলাম। মঞ্চের সামনে নয়, ঠিক পাশেই।

তিনি বলেন, যেটা রেকর্ড করা হয়েছিলো সেটা ১৮/১৯ মিনিটের রেকর্ড। সেই ভাষণে বাংলাদেশের জনগণের সেই ২৩ বছরের বঞ্চনার ইতিহাস তাদের সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতি সংগ্রামে রক্ত দেয়ার ইতিহাস, সবকিছু বিবৃত করে ভবিষ্যতে কি করতে হবে অর্থাৎ একটা গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হবে এমনকি তিনি যদি না থাকতে পারেন বা হুকুম দিতে নাও পারেন তখন কী করতে হবে সে কথাগুলোও তিনি বলে গেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কাছ থেকে ভোটের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার ম্যানডেট পেয়েছিলেন। ৭০’র নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছিল। কিন্তু হানাদার বাহিনী বাঙালিকে তাদের অধিকার দেয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের নেতা কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত জনগণই নিয়েছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচন করেছিলেন। দেশের জনগণ স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার অধিকার অন্য কাউকে নয়, বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস ছিল, একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পারেন তাদের স্বাধীনতা এনে দিতে। শোষণের হাত থেকে মুক্তি দিতে। কারণ, তাদের অফুরন্ত সমর্থন ও বিশ্বাস ছিল তার ওপর। বঙ্গবন্ধুর মনে সবসময় স্বাধীনতা অর্জনের চিন্তা ছিল। কিন্তু সংগত কারণে তিনি তা ৭ মার্চের আগে প্রকাশ করেননি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn