চলচ্চিত্রের ইতিহাস নিয়ে লিখতে চাইলে প্রথমেই আসে নায়করাজ রাজ্জাকের নাম। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল কয়েকদফায় জানাজা, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আজ বুধবার বনানী কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এই মহানায়ককে নিয়ে চলছে ভক্ত সাধারণের স্মৃতিচারণা, ভালবাসার আবেগঘন শব্দের মিছিল। এই কাতারে সামিল হলেন ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

সোমবার তসলিমা তার ফেসবুকে বিশদ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে নায়করাজকে নিয়ে লিখেছেন তার মনের কথা, জানিয়েছেন স্মৃতিকে আটকে থাকা গল্প। তসলিমা বলেন, মারা গেছেন ৭৬ বছর বয়সে। মোটামুটি দীর্ঘদিন বেঁচেছেন। স্ত্রী পুত্র কন্যা নিয়ে সুখে শান্তিতে বেঁচেছেন। জীবনে যশ খ্যাতি সব পেয়েছেন। হজ্বও করেছেন। ইহকাল পরকাল দু’কালেই তিনি রাজা। তাকে বলা হতো নায়করাজ রাজ্জাক।

রাজ্জাককে নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তসলিমা লিখেছেন, কিশোরী বয়সে তার প্রচুর ছবি দেখেছি। সেই তখনকার সাদা-কালো সিনেমা, সরল সহজ গল্প, তিনি রোমান্টিক নায়ক চরিত্রে অভিনয় করতেন। কলকাতার এক্সেন্টে বাংলা বলতেন। বেশ শোনাতো! আর সেই দোবো নোবোগুলো।তিনি আরো বলেন, বুড়ো বয়সের রাজ্জাক দেখতে বিচ্ছিরি। যৌবনে তিনি অত্যন্ত রূপবান পুরুষ ছিলেন। আজ যুবক রাজ্জাককে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল, আমার কিশোরী বয়সে যে রাজ্জাককে পর্দায় দেখেছি সেই রাজ্জাককে। ইউটিউবে রাজ্জাক লিখে সার্চ দিলে ভূরি ভূরি আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ আসে। এই রাজ্জাকের ভিড়ে সেই রাজ্জাককে খুঁজে পাওয়া যায় না। একটি মৃত্যুই মৃত্যুকে কাছে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণের জন্য অথবা সারাদিনের জন্য। কাল আবার সকাল হবে। কাল আবার পাখি ডাকবে। কাল আবার জীবন হাতছানি দিয়ে প্রবল ডাকবে। আপাতত দূর হবে মৃত্যু-চিন্তা। শেষকথাগুলোও লেখক তসলিমার।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn