বার্তা ডেস্ক :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গৃহবধূ পেয়ারা বেগমের লাশ উদ্ধারের পর মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় স্বামী আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।  গ্রেপ্তারকৃত আব্দুস সালাম (২৭) নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনে পেয়ারা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী। নিহত পেয়ারা বেগম (৩৭) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার আবাদপুর গ্রামের মৃত মিরাজ সিকদারের মেয়ে। শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে ঘোড়াঘাট খানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগের সন্তান রেখে পেয়ারা বেগমের প্রথম স্বামী মারা যায়। দীর্ঘ কয়েক বছর একা থাকার পর আব্দুস সালামের সাথে বিয়ে হয় তার। আব্দুস সালাম দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলায় ওয়ালটন কম্পানিতে চাকরি করত। কিন্তু অভাব অনটনসহ নানা সমস্যায় পারিবারিক অশান্তি চলছিল তাদের সংসারে। অভাব মেটাতে গত রবিবার ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পেয়ারা বেগমকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে থেকে রওনা দেন সালাম। পথিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে রাতের বেলা ঘোড়াঘাট-হিলি সড়কের সূরা মসজিদ এলাকায় নিয়ে এসে রুটি খাওয়ার কথা বলে রাস্তার পাশে ঝোঁপের ধারে বসে তারা দুজন। এ সময় স্ত্রী পেয়ারা বেগমের শরীরে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী সালাম। তিনি আরো জানান, গত ৫ অক্টোবর পেয়ারা বেগমের ভাই মুনছুর আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা তথ্য ও পারিবারিক তথ্যর উপর ভিত্তিতে মূল সন্দেহভাজন সালামকে গ্রেপ্তার করে তারা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।-কালের কণ্ঠ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn