প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত প্রকৃতার্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদের আত্মাহুতির প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার স্মারক এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার এক বাণীতে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানীরা বাঙালিদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করে। অর্থনৈতিক শোষণ ছাড়াও তারা ‘আমাদের’ ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে। উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ নেয়।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, পাকিস্তানীদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রুখে দাঁড়ান। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সংগ্রাম। বাঙালিদের ওপর নেমে আসে অত্যাচার এবং নির্যাতন। ’৫২’র ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ’৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬’র ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ’৭০’র সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের পথ ধরে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম যৌক্তিক পরিণতির দিকে ধাবিত হয়। আগরতলা মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালিরা দমবার পাত্র নন। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনেন। আইয়ুব খানের পতন হয়। ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দখল করে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়। -বাসস।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn