জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বৃটিশ সরকারের আহ্বানে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে বৃটিশ জনগণ। তারা গত ৬  দিনে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সরকার গঠিত তহবিলে দান করেছেন ৭০ লাখ পাউন্ড। এরই মধ্যে ১৫ টন ত্রাণ শনিবার কক্সবাজারে পৌঁছেছে। ত্রাণের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়াও টয়লেট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও নিরাপদ পানি সরবরাহের উপকরণ রয়েছে। এগুলো হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে ট্রাকে করে ত্রাণসামগ্রী কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। গত ৪ঠা অক্টোবর রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশটির জরুরি দুর্যোগ বিষয়ক কমিটি। ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যেই এ বিপুল অঙ্কের তহবিল সংগ্রহ করেছে বৃটিশ কমিটি। তহবিল সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্নভাবে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বৃটেন। ইতিমধ্যেই দেশটির বেশ কয়েকটি দাতব্য সংস্থা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, খাদ্য, পরিষ্কার খাবার পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করছে। জরুরি দুর্যোগ বিষয়ক কমিটির প্রধান নির্বাহী সালেহ সাইদ বলেন, আরো একবার বৃটিশ জনগণ তাদের উদারতা ও দয়ালু মনোভাব প্রদর্শন করলো। যারা সাহায্য করেছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট উত্তরণে এই তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ১ লাখেরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২৫ হাজার টয়লেট নির্মাণ জরুরি। রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার নারী অন্তঃসত্ত্বা। তাদের জরুরি মাতৃত্বকালীন সেবা প্রয়োজন। আমরা জনগণের প্রতি সাহায্য প্রদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করছি। দাতব্য সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন অক্সফামের সমন্বয়ক পাওলো লুব্রানো জানিয়েছেন, ঘনবসতিপূর্ণ ওই সব আশ্রয়কেন্দ্রের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বৃটিশ জনগণের দেয়া এই ত্রাণ তাদেরকে পরিষ্কার পানি সরবরাহ, টয়লেট নির্মাণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। তিনি রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বৃটিশ জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn