মো.শাহজাহান মিয়া-

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন শতশত ফার্মেসী। নিয়ন্ত্রনে অভিযানে নেমেছেন সুনামগঞ্জ জেলা ড্রাগ সুপার কামরুল ইসলাম।জানাগেছে, মঙ্গলবার দিন ব্যাপী জগন্নাথপুর সদর বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসীতে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালান সুনামগঞ্জ জেলা ড্রাগ সুপার কামরুল ইসলাম। অভিযানে ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় নিউ লাইফ হার্বাল নামের একটি ফার্মেসীকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স না থাকা সহ ভেজাল ওষুধ বিক্রির দায়ে জগন্নাথপুর পশ্চিম বাজারের অনিক ফার্মেসী, মা লক্ষী ফার্মেসী, সাগর মেডিকেল সেন্টার, আল্লাহ ভরসা হোমিও ফার্মেসী, মা মনি ফার্মেসী, তুলি ফার্মেসী, জনতা ফার্মেসী, আরাফাত ফার্মেসী, আছমা ফার্মেসী সহ আরো ১০টি ফার্মেসীকে সতর্ক করা হয় এবং বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে বেশ কিছু ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় অভিযানের খবর জানাজানি হলে ফার্মেসী ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ৮/১০টি ফার্মেসী বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর কেমিষ্ট এন্ড ড্রগিষ্ট সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. শশী কান্ত গোপ জানান, আমাদের সমিতির অধীনে ড্রাগ লাইসেন্স ধারী বৈধ ৬০টি ফার্মেসী রয়েছে। সমিতির বাইরে আরো উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আরো প্রায় ৩ শতাধিক ছোট-বড় ফার্মেসী আছে। এসব অধিকাংশ ফার্মেসীর লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন আছে আবার অনেকের নেই। এরপরও তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈধ লাইসেন্সধারী ফার্মেসীর সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করছে। জানতে চাইলে অনিক ফার্মেসীর মালিক নিকেশ বৈদ্য বলেন, গত ৩ বছর ধরে ড্রাগ লাইসেন্স বন্ধ থাকায় আমরা লাইসেন্স করতে পারিনি। এ ব্যাপারে অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী সুনামগঞ্জ জেলা ড্রাগ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই সরকারি নীতিমালা মেনে ব্যবসায়ীরা ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে সচ্ছতার সাথে ব্যবসা করুক। ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করুক মান সম্পন্ন ওষুধ। আমরা কারো ফার্মেসী বন্ধ করতে চাই না। প্রথম বারের মতো যাদের লাইসেন্স নেই, তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স হচ্ছে। যাদের ড্রাগ লাইসেন্স নেই, তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করে সহায়তা নিতে পারবেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn