ডলুরা স্থলবন্দরের জন্য সুনামগঞ্জে জায়গা নির্ধারণ
ডলুরা স্থলবন্দরের জন্য সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে জায়গা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২টায় কাস্টমস ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের একটি দল এই জায়গা নির্ধারণ করেন।৬ সদস্যের এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক আনিছ আহমদ। সুনামগঞ্জ জেলায় এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর স্থাপন করা হচ্ছে।ডলুরা জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন কাস্টম অফিসের ইমিগ্রেশন সেন্টার ও রাজস্ব অফিসসহ স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণের জন্য ১০ একর এবং বন্দরের জন্য বন্দর শেড, ট্রাক টার্মিনাল, গুদামঘর ও আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য ১৫ একর জায়গা অধিগ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
৬ সদস্যের ওই দলে আরো ছিলেন বন্দরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাছান আলী, সিলেট কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আহমেদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবেরা আক্তার, সুনামগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল ও বন্দর ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক আনিছ আহমদ। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় আমদানি কারক ব্যবসায়ী নেতারা। বাংলাদেশ স্থলবন্দর পরিচালক ট্রাফিক বিভাগ মো. আনিছ আহমেদ বলেন, ডলুরা স্থলবন্দর নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। জায়গা অধিগ্রহণের পর বন্দর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ সাবেরা আক্তার বলেন, স্থলবন্দরের জায়গা নির্ধারণ নিয়ে করা হয়েছে। এখন আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট খায়রুল হুদা চপল বলেন, ডলুরা স্থলবন্দর চালু হলে এলাকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল হবে। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে। ডলুরা স্থল বন্দর হবে সুনামগঞ্জের একমাত্র স্থল বন্দর।
উল্লেখ্য, বন্দর স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয় সম্প্রতি এনবিআর এর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শন করার পর। এটি চালু হলে ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, উড়িষাসহ সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোর সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে। এতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষই লাভবান হবে।