বার্তা ডেক্সঃ শান্তিগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুল ছাত্রীসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে জামখলা হাওরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন, দরগাপাশা ইউনিয়নের মৌগাঁও গ্রামের মৃত আরাধন বৈদ্যের ছেলে দিলিপ বৈদ্য, ভূষণ বৈদ্য, বাবুল বৈদ্য, বাবুল বৈদ্যের স্ত্রী রিনা বৈদ্য, ভূষণ বৈদ্যের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী বৈদ্য, হরিবল বৈদ্যের মেয়ে আব্দুর রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার্থী ডলি রানী বৈদ্য, মৌগাঁও বাগেরকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী তৃষা রানী বৈদ্য, দিলিপ বৈদ্যের স্ত্রী রেবা রানী বৈদ্য, অধীর বৈদ্যের ছেলে পংকজ বৈদ্য, দিপংকর বৈদ্য, শংকর বৈদ্য, হরিবল বৈদ্যের ছেলে গোবিন্দ বৈদ্য, বিপুল বৈদ্য, লক্ষ্মীকান্ত বৈদ্যের ছেলে রনজু বৈদ্য। গুরুতর আহত দিলিপ বৈদ্য, ভূষণ বৈদ্য, বাবুল বৈদ্য ও দিপংকর বৈদ্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৌগাঁও গ্রামের সঞ্জয় বৈদ্য কালা ও দিলিপ বৈদ্য গংদের মধ্যে হাওরে সেচ পাম্প দিয়ে পানি তোলা ও জমি সংক্রান্ত জের ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় স্থানীয় জামখলা হাওরে দিলিপ বৈদ্য হাওরে জমি চাষ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা সঞ্জয় বৈদ্য কালাসহ কয়েকজন দিলিপ বৈদ্যকে বেধড়ক মারধর করে ডান হাত ভেঙে ফেলেন। খবর পেয়ে দিলিপ বৈদ্যের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ ব্যাপারে দিলিপ বৈদ্যের ভাতিজা বিধান বৈদ্য জানান, আমরা নিরীহ দিনমজুর মানুষ প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় তারা আমাদের জমিতে সেচ পাম্পের পানি দেয়নি। আমাদের জমিতেও কাজ করতে বাঁধা নিষেধ করে এবং অন্যায়ভাবে মারধর করে আমাদের লোকজনকে আহত করেছে। আসামী গ্রেফতারে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রতিপক্ষের সঞ্জয় বৈদ্য কালার মোবাইল ফোনে বারবার কল দিলেও তার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬০ বার