বার্তা ডেক্সঃঃঘুমন্ত অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সাদ্দাম হোসেন নামে পুলিশের এক কনস্টেবল। পরে মাথা ও দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি স্ত্রীর পেট কেটে গর্ভের বাচ্চা বের করে মরদেহ বস্তায় ভরে গুমের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গৃহবধূ জ্যোৎস্না বেগমের মরদেহ উদ্ধার এবং সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে পুলিশ। বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘটেছে এ নির্মম হত্যাকান্ড।জানা গেছে, নিহত জ্যোৎস্না সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। সাদ্দাম সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামের আবদুল লতিফ গাজীর ছেলে। তিনি শরণখোলা উপজেলার থাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তিনি ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান,

বুধবার রাতের কোনো এক সময় সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে গলা কেটে পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে লাশ পরিত্যক্ত একটি ঘরে লুকিয়ে রাখেন। গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাদ্দাম হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। আমরা তাকে আটক করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছি। এসপি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সাদ্দাম। এরপর মাথা ও দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি স্ত্রীর গর্ভের বাচ্চা পেট কেটে বের করে মরদেহ গুম করতে বস্তাবন্দি করে রাখেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn