পরিবার থেকে পাওয়া সবচেয়ে মূল্যবান শিক্ষা ‘কারো উপকার করতে পিছপা হয়ো না , তা না পারলেও সমস্যা নেই তবে কারো অপকার যেন না হয় সেটি খেয়াল রাখা!’ জ্ঞানত কারো অপকার কখনো করিনি, এটা সন্তুষ্টি দেয় মনে। এসব যে খুব বলে কয়ে শেখানো হয়েছে তা নয় বরং বাবা-মাকে দেখে দেখেই শিখেছি! বলার চেয়ে চোখের সামনে কৃত কাজ অনেক শক্ত উদাহরণ সেট করে দিয়েছে। মা-বাবা বেঁচে নেই। খুব অল্প সময়েই হারিয়েছি তাঁদের, আদর্শ ভুলে যাইনি এখনো আলহামদুলিল্লাহ।

আমি আমার কাছের অনেককে সুযোগ পেলেই বলি, নিরীহ প্রাণীকে সেবা করতে নাই-ই পারো সমস্যা নেই, একটু খাবার দিতে না পারো তাতেও সমস্যা নেই (দিতে পারলে ভাল) তবে অযথা নির্যাতন করো না! অনেক বাচ্চা, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে কারণ ছাড়াই প্রাণীর প্রতি নির্দয় হতে দেখেছি! গরম পানি ঢেলে দেয়া, লাঠি দিয়ে পেটানো, বস্তা বন্দী করে নদীতে ফেলে দেয়া আরও কত কি! যেন ওদের প্রাণ নেই….. এরুপ মানসিকতা ধারণকারী লোকজন মানুষের প্রতিও সহানুভূতিশীল নন বরং ভয়ানক নির্দয়!

এরূপ নির্দয় স্বরুপে মহান আল্লাহকে পাওয়া যায় না! ইবাদত, বন্দেগি কাজে আসবে না যদি অন্তর এত হিংস্রতায় পূর্ণ হয়ে থাকে। স্রষ্টাকে খুঁজতে কষ্ট করতে হয় না, একটু বুঝে, শুনে চললেই হয়! (নিজ সন্তানদের বলে নয় বরং করে শেখাতে চাই! মানবিক ও বোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বলার চেয়ে করে দেখানো অনেক বেশি জরুরি! যতটা সময় খাইয়েছি, আমার লক্ষ্মী মা পাশে থেকে নিজেও খাইয়েছে!) (ইফতেখায়রুল ইসলাম ফেসবুক থেকে সংগৃহীত) লেখক : এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn