বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই মঞ্চে উঠবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৫ শে মে বিশ্ব ভারতী ইউনিভার্সিটিতে উদ্বোধন করা হবে বাংলাদেশ ভবন। সেখানেই একই মঞ্চে থাকবেন তারা তিনজন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের খরচ বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। এদিন চ্যান্সেলর হিসেবে কেন্দ্রীয় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ।  ২০১৬ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর থেকে পদত্যাগ করেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এরপরই ওই চ্যান্সেলর করা হয় মোদিকে। রেক্টর হিসেবে ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরিনাথ ত্রিপাঠির। ওদিকে বলিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি, মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনকে বিশ্ব ভারতীর একাডেমিক কাউন্সিল অভিজাত ‘দেশিকোত্তমা’ পদক দেয়ার জন্য মনোনীত করেছে। এ ছাড়া আরো যারা পুরস্কৃত হবেন তারা হলেন সঙ্গীত পরিচালক গুলজার, লেখক অমিতাভ ঘোষ ও সুনীতি কুমার পাঠক, পেইন্টার জোগেন চৌধুরী, বিজ্ঞানী অশোক সেন ও সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখার্জী। একই অনুষ্ঠানে ‘গগণ-আবান’ পুরস্কার ও রথীন্দ্র পুরস্কার ঘোষণা করার কথা রয়েছে বিশ্ব ভারতীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সবুজকালি সেন কর্মসূচির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সম্মতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠানে পুরস্কার হস্তান্তর করবেন চ্যান্সেলর। যদি তার অফিস অনুমোদন জানায় তাহলে তিনি পিএইচডি ডিগ্রিও হস্তান্তর করতে পারবেন। এর পরে দু’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দুটি অনুষ্ঠানেই আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।  বিশ্ব ভারতীর কর্মকর্তারা বলেছেন, এবারের সমাবর্তনের একটি বিশেষত্ব আছে। কারণ, ১০ বছর পর এবারই প্রথম এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মনমোহন সিং। কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণ কাজ দেখতে শান্তিনিকেতন সফর করেছেন বাংলাদেশ সরকারের একজন প্রতিনিধি। বিশ্ব ভারতীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওই প্রতিনিধি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করেছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ভবনে থাকবে জাদুঘর, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র- তাতে প্রাধান্য পাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও থাকবে ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্কের বিষয়। 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn