প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দেওয়ার পর বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় লন্ডনের দ্যা ওভাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের মত জয় পেয়েছিল নিউ জিল্যান্ডও; শ্রীলঙ্কাকে হারায় তারা ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ যে মাঠে খেলে জয় পেয়েছিল সে একই মাঠে খেলা। তবে উইকেট ভিন্ন। ঘাসে ঢাকা জমিন ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত। ম্যাচ শুরুর আগে কতটা ঘাস ছাটা হবে এনিয়ে এখনও নিশ্চিত না কেউ। তবে ঘাসে ভরা উইকেট থাকলে উইকেট নিয়ে কিউই পেসারদের চোখ চকচক করে ওঠতে পারে। কারণ দলটির বড় শক্তি পেস আক্রমণ। ট্রেন্ট বোল্টের গতিময় সুইং, আছেন ম্যাট হেনরি, এবং আরও আছে লকি ফার্গুসনের গতি। মূল তিন পেসারের সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের নিয়ন্ত্রণ ও ছোট ছোট সুইং। পেস আক্রমণের বাইরেও দলটির আছে শুরুতেই ঝড় তোলা মার্টিন গাপটিল ও কলিন মানরো। বাংলাদেশের বোলিং দুজনেরই বেশ পছন্দের! বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে গাপটিলের; ১১ ম্যাচে স্ট্রাইক রেট একশর বেশি, গড় ৬০.৮৮। মানরোর গড় ৪০, স্ট্রাইক রেট ১১৯.০৪।

নিউ জিল্যান্ড যেমন তাদের শক্তির প্রদর্শনী করেছে প্রথম ম্যাচে, বাংলাদেশও কম যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহ করে ২১ রানে জয় পায়। ওই ম্যাচে সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম দুজনই অর্ধশতক করেছে। এছাড়াও রান পেয়েছেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এরবাইরে তামিম ইকবালও ফর্মে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে সৈকতের প্রস্তুতিও চোখে পড়েছে। বোলিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমান সেদিন নিয়েছেন ৩ উইকেট; সাইফুদ্দিন প্রয়োজনের সময়ে উইকেট নিয়ে গড়ে দিয়েছেন পার্থক্য। এছাড়াও সাকিব ও মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিং জয়ের পথ দেখিয়েছিল বাংলাদেশকে। ম্যাচের আগের দিন সৌম্য সরকার নিজেদের প্রস্তুতি সম্পর্কে বললেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা যে উইকেটে খেলেছি, এবার অন্য উইকেটে হবে। ওদের বোলারদের গতির সঙ্গে সুইংও থাকবে। দুটিই সামলে কিভাবে এগোনো যায়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে হবে। সুইং, পেস মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করতে হবে। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হলে বল বুঝে মারতে হবে, সুইং থাকলে শুরুতে সতর্ক থাকতে হবে। সৌম্য বলেন, প্রথম ১০ ওভারে যদি কোনো উইকেট না হারিয়ে কিছু রান করে ফেলতে পারি, আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। ওদের মূল অস্ত্র সুইং। প্রথম ১০ ওভারে ওরা দ্রুত উইকেট নিতে চায়। সেটি ব্যর্থ করে দিতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে। ম্যাচ সম্পর্কে কিউই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম বলেছেন, আমার মনে হয়, গত কয়েকটা মৌসুমে আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক খেলেছি। ওরা কিভাবে কি করে আমরা অনেকটাই জানি। সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টে এবং দুই বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওরা ভালো খেলেছিল। কয়েকদিন আগে বিশ্বকাপে নিজেদের ম্যাচেও তারা ভালো করেছে। “তাই আমরা জানি ওদের দিক থেকে হুমকিটা কী। আশা করি নিজেদের কাজে আমরা অনড় থাকবো আর কদিন আগে পাওয়া গতিটা ধরে রাখতে পারবো।” ল্যাথাম বলেন, আপনি জানেন, ওরা অসাধারণ একটা ম্যাচ খেলেছে। অতীতে আমরা দেখেছি ওরা কিভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারে। আমি নিশ্চিত আগামীকালও (বুধবার) এর অন্যথা হবে না। ওরা আমাদের চাপে ফেলার চেষ্টা করবে। সাফল্য পেতে যা প্রয়োজন তা করার ব্যাপারে দৃঢ় থাকবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn