কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। এসব গুজবের মধ্যে আন্দোলনের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রের নিহত হওয়া ও শেষের দিকে এক ঢাবি ছাত্রীর রগ কেটে দেওয়ার পোস্টগুলোও রয়েছে। বুধবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা থানায় বাদী হিসেবে মামলাটি দায়ের করেছেন সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম শাহজালাল। মামলার তথ্য নিশ্চিত করে সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার আলিমুজ্জান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়েছিল, আমরা তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’ সাইবার ক্রাইম সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপভিত্তিক পেজগুলো গুজব ছড়ানোতে সক্রিয় ছিল বেশি। বিশেষ করে বাঁশের কেল্লা নামে জামায়াত-শিবিরেরর একটি পেজ বেশি সক্রিয় ছিল। এসব পেজের অ্যাডমিনদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মামলার এজাহারে গুজব রটনাকারী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এতে গুজব ছড়ানো বিভিন্ন ফেসবুক পেজের নাম ও পোস্ট সংযুক্ত করা আছে। এছাড়া, ইমরান এইচ সরকারের নাম এবং তার শেয়ার হওয়া ফেসবুক পোস্টও সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এজাহারে।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৮ এপ্রিল দুপুরে শাহবাগে জমায়েত হন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। রাত পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে দফায় দফায় সারা রাত ধরে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এর কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। এর একদিন পর ১০ এপ্রিল দিবাগত রাতে আবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ঢাবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা তার হলেরই এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজ শুক্রবার এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ছাত্রলীগ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn