বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আর কয়টি মামলায় জামিন প্রয়োজন সে বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট ধারণা নেই তার আইনজীবীদের। বুধবার (১৬ মে) এ বিষয়ে জানতে বিএনপি চেয়ারপারসনের বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন  এ প্রতিনিধি। কিন্তু কয়টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে আর কয়টি মামলা চলমান সে বিষয়ে তারা সর্বসম্মত তথ্য দিতে পারেননি। খালেদা জিয়ার মামলার সংখ্যা সম্পর্কে সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে তিনটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেফতার দেখানো) দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি কুমিল্লায় এবং একটি নড়াইলে। নড়াইলের মামলাটি বেইলেবল অফেন্স (জামিনযোগ্য অপরাধ) এবং অন্যান্য মামলায়ও জামিন হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’   

একই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তাকে এখনও কিছু মামলায় জামিন নিতে হবে। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি, নড়াইলে একটি এবং ঢাকায় দু’টি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন বহাল রাখা হলেও এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন না। তাকে আরও কিছু মামলায় মিথ্যা আসামি করা হয়েছে, যাতে তাকে আরও কিছুদিন জেলে রাখা যায়। তাই আমাদেরকে এই মামলাগুলোয় জামিন নিতে হবে। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় আমাদের এগোতে হবে।’  খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে বিভিন্ন মামলার ফাইলিং ল’ইয়ার ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,‘তার বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে শুধু দু’টি মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজিরা পরোয়ানা) রয়েছে। এ সংখ্যা আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি। কেননা, খালেদা জিয়ার মামলার সব ফাইল আমার কাছেই থাকে। এখন সরকার বাধা সৃষ্টি না করলে খালেদা জিয়ার এসব মামলাতেও তার জামিনে মুক্তিতে বাধা থাকবে না।’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে আরও ৬ মামলায় জামিন পেতে হবে। এর মধ্যে ৪ মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট আছে, এগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। কুমিল্লা, নড়াইল এবং ঢাকাতে এ মামলাগুলো রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সর্বমোট মামলা রয়েছে ৩৬টি।’ মামলায় জামিনের তথ্য কোনটি সঠিক- তা জানতে চাইলে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এসব মামলায় আমি শুনানি করেছি। আমারটাই সঠিক।’   

খালেদা জিয়ার জামিনে কারামুক্তিতে আর ক’টি মামলায় জামিন পেতে হবে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন,‘এ বিষয়ে আমি জানি না। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।’ এর আগে বুধবার (১৬ মে) সকালে হাইকোর্টের জামিন স্থগিতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটির হাইকোর্টের আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn