ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-এর মেসেজিং সার্ভিস ব্যবহার করে ভুয়া খবর ছড়ানোর ঘটনায় কিছু দেশ, বিশেষ করে ভারতের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো গুজবকে কেন্দ্র করে সেখানে মানুষ হত্যার ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী ভুয়া খবর প্রচার ঠেকাতে নতুন ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন নিয়মে যা আছে-
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা হলো একজন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী একটি বার্তা পাঁচবারের বেশি ‘ফরওয়ার্ড’ করতে বা অন্যদের পাঠাতে পারবেন না। ভারতে ছয়মাস আগেই এ নিয়ম চালু হয়েছে। এখন এটা বিশ্বব্যাপী সব হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আগে একটি মেসেজ ২০ বার ‘ফরওয়ার্ড’ করা যেতো।প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র জানান, এতে ফরওয়ার্ড করা বার্তার হার কমে এসেছে। এর ফলে লোকজন নিজের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠানোর ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হবে। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তাদের অভিজ্ঞতা জানার পর ভাইরাল কোনো মেসেজ কীভাবে সামাল দেয়া যায় সে ব্যাপারে নতুন ব্যবস্থা চিন্তা করা হবে।

গ্রুপ খোলার জন্যও হচ্ছে বিশেষ নিয়ম : এখন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কোনো গ্রুপ খোলার ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এ নিয়ম অনুসারে এখন থেকে নতুন গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২৫৬ জনের বেশি হতে পারবে না।

যে কারণে এই ব্যবস্থা : সাম্প্রতিক সময় নানা ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক। গত সপ্তাহে ফেসবুক ঘোষণা করেছে তারা ইউক্রেন, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে ৫০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে পরিকল্পিতভাবে ভুয়া খবর ছড়ানো হতো। তবে হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা- একটি বিশেষ কোডের কারণে সেটি বার্তা প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া তৃতীয় কোনো পক্ষে সেটি পড়তে পারে না। হোয়াটসঅ্যাপের বার্তাগুলো ‘এনক্রিপটেড’। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ চাইলেও গোপনে কারো অ্যাকাউন্টে ঢুকে এই বার্তার বিষয়বস্তু পড়তে পারবে না। এতে করে কেউ যদি ভুয়া খবর ছড়ায় তা পড়া হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষেও সম্ভব নয়। যা ভুয়া খবর ঠেকানোর ক্ষেত্রে তাদের জন্য প্রধান সমস্যা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn