জগন্নাথপুরে দলবদ্ধ একটি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করতো এমন অভিযোগে পুলিশ বুধবার রাতে তাদের কে গ্রেপ্তার করে। এসময় ৬৭টি মোবাইল ও ৪টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার জালালপুর এলাকার ছামিন উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৩), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার মছকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে জাকের আহমদ রাজু (৩৩), হবিগঞ্জের আজমীরিগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মহিবুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), একই গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে মোজাক্কির মিয়া (৩২) ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সোনাপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে এমরান আহমদ (৩১)।

পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায়জেলার পুলিশ মোহাম্মদ এহ্সান শাহে্র (অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত) দিক-নির্দেশনায় জগন্নাথপুর সার্কেল (এএসপি) সুভাশীষ ধর ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে হারানো ও চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধারে একাধিক বিশেষ অভিযানে পরিচালনা করে উপজেলা সদরের দুটি মোবাইলের দোকান থেকে ৬৭টি মোবাইল ও ৪টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত দলবদ্ধ চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার হয়। সুনামগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর বলেন, গত একমাস যাবত হারানো মোবাইল জিডি তদন্ত ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামুনুর ও জাকেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের তথ্যমতে বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারসহ চোরাই মোবাইল ও ট্যাব জব্দ করা হয়।

আসামীদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাদ দিয়ে এএসপি সুভাশীষ ধর বলেন, মামুনুর ও জাকের দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন চোরের নিকট থেকে চোরাই মোবাইল ক্রয় করে সচল অবস্থায় কিংবা ওইসব মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে ব্যবসা করে আসছিলেন। বাকী ওই তিন আসামী মামুনুর ও জাকেরসহ বিভিন্ন জায়গায় চোরাই মোবাইল বিক্রি করতেন।সুভাশীষ ধর আরও বলেন, ওই চক্রের সদস্যরা কয়েক ধাপে কাজটি করতেন। তাদের একটি অংশ শুধু মোবাইল ফোন চুরির কাজটি করত।এরপর একটি অংশ এসব সংগ্রহ করে মোবাইল সার্ভিসিং দোকানের অসাধু ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করে আসছিল। তারপর ওই সব অসাধু ব্যবসায়ী চোরাই ফোনগুলো সচল অবস্থায় বা যন্ত্রাংশ খুলে তা নিজে বা অন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিল। এভাবে চোরাই মোবাইল বিক্রি করে চক্রটি অবৈধ অর্থ আয় করত।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল আরেফিন বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn