ছাতকে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের হাতা-হাতির ঘটনায় পন্ড হয়ে যায়। এসময় উভয় সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে চেয়ারম্যান ও মেম্বার সর্মর্থকরা রাম-দা, শুলফিসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দু’দিকে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের ক’জন মেম্বারের সাথে চেয়ারম্যান অদুদ আলমের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পরিষদের বাজেট সভায় ৯জন মেম্বার উপস্থিত হননি। এসব বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মধ্যে চলছিল তীব্র উত্তেজনা। মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে দু’মেম্বারের বাক-বিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি তাৎক্ষনিক নিষ্পত্তি করা হলেও অসন্তোষ ছিল মেম্বারদের মধ্যে। রোববার ভিজিএফ’র চাল বিতরণী নিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গন্যমান্যদের এক সভায় মঙ্গলবার সৃষ্ট ঘটনা পুনরায় মীমাংসা করার জন্য গন্যমান্যদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়। এ প্রস্তাবের উপর ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার সদরুল ইসলামের আপত্তিকর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় হট্টগুল। সভাস্থল ত্যাগ করে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দু’দিকে অবস্থান নেয়। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের কালারুকা পয়েন্টে অবস্থান নেয় চেয়ারম্যান সমর্থকরা অপরদিকে হাসনাবাদ ব্রীজ এলাকায় অবস্থান নেয় মেম্বার সমর্থকরা। উভয় পক্ষের অস্ত্রের মহড়ায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে কালারুকাসহ আশপাশ এলাকার মানুষের মধ্যে। খবর পেয়ে ছাতক থানা-পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে নিবৃত করে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সক্ষম হন। ইউপি সদস্য সদরুল ইসলাম জানান, পরিষদে আসার পর তিনিসহ কয়েকজন সদস্যকে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে পুলিশের সহায়তায় তারা মুক্ত হন। মেম্বাদের আটকের বিষয়টি নিতান্তই মিথ্যাচার বলে ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলম জানান, পরিষদের সভায় আগত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে উদ্দেশ্য করে দু’য়েকজন মেম্বার একাধিকবার আপত্তিকর বক্তব্য রাখেন । এ নিয়ে পরিষদে আসা সাধারন লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn