জগন্নাথপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ফলে এক কিশোরীর সন্তান প্রসব এবং ২০ ঘন্টা পর ভূমিষ্ট সন্তান মারা যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। মঙ্গলবার পুলিশ শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের গোয়াসপুর গ্রামের মৃত ছনর মিয়ার ছেলে মারুফ মিয়া (২২) সালদিঘা গ্রামের এক কিশোরীর (১৬) সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য মারুফ মিয়ার পরিবারের কাছে বলা হয়। মারুফ বিয়ের আশ্বাসে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে এ নিয়ে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সালিশ বৈঠকে উপস্থিত এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি খেজর ইসলাম বলেন, সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের কথা শুনে কিশোরীকে বিয়ে করতে আমরা রায় দেই। কিন্তু সালিশ বৈঠকের রায় মেনে পরে আর ওই যুবক বিয়ে করেনি। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গত রবিবার সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিন দুপুর ১টায় নিজ বাড়িতে কিশোরীটি এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। ২০ ঘন্টা পর ওই নবজাতক সোমবার সকাল ৯টায় মারা যায়।

কিশোরীর বাবা জানান, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে আমি বিষয়টি তাদের অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করি। এ নিয়ে একটি সালিশ বৈঠক বসে। এতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত দিলেও ছেলে না মানায় আমি ধর্ষণের বিচার ও সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছি। জগন্নাথপুর থানার উপ পরিদর্শক দ্বিপঙ্কর তালুকদার বলেন, সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডাক্তারি প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ পদক্ষেপ নেব।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn