জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসার জমি নিলামকে কেন্দ্র করে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ফের সংগাতের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।গত ১৬ সেপ্টেম্বর শ্রীধরপাশা কওমি মাদ্রাসার জমি নিলামের পর শ্রীধরপাশা গ্রামের বাসিন্দা হাজী আব্দুল হান্নান ও একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ আলম কোরেশীর লোকজন বন্দুক যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। এতে উভয় পক্ষের প্রায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০-৬০ জন লোক আহত হন।
জানা যায়, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে আশরাফ আলম কোরেশীর পক্ষের ফয়জুল করিম এখনো সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পায়ে গুলি লেগেছে দাবি করে আশরাফ আলম কোরেশী বলেন, আমরা ইতিপূর্বে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে দুইবার অপারেশন করাই, কিন্তু কোনো সফলতা পায়নি। ওসমানীর চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি হামলার মূলহোতা ফয়সলকে গ্রেপ্তার ও ফয়সলদের অবৈধ বন্দুক উদ্ধার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব অবৈধ বন্দুক নিয়ে আবার হামলা হতে পারে। তিনি বলেন, সেদিন প্রতিপক্ষ আমাদের বাড়িতে আক্রমন করায় আমরা আত্মরক্ষা করতে বাধ্য হই। এব্যাপারে আব্দুল হান্নান পক্ষে ফয়সল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলে আমাদের পক্ষের লোকজন এতো আহত হত না। আমরা এলাকার শান্তিপ্রিয় লোক হিসেবে চিহ্নিত আছি।’ঘটনায় ব্যবহৃত বন্দুক উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার সাইফুল আলম।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার জমি নিলামকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়ে ছিলেন এবং উভয় পক্ষের ৯ জনকে তাৎক্ষনিক ভাবে আটক করা হলে পরবর্তীতে দু’পক্ষের দুটি মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn