জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা গ্রামে দু’পক্ষের রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘঠনায় পেটে গুলিবিদ্ধ আহত নূর আলী মারা গেছেন। তিনি তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান। তার পিতা, মুক্তিযোদ্ধা মৃত: তখলিছ আলী। নূর আলীর নাবালক ২ পুত্র ও ১ কন্যা এবং তার স্ত্রীর আর্তনাদে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। তার মৃত্যু সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে।প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টা) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের পোস্টমর্টেমের কাজ চলছে।বুধবার রাত ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২য় দফা অস্ত্রপচারের ৩ ঘন্টা পর আই সি ইউতে নূর আলীর মৃত্যু হয়।উল্লেখ্য, গত ১৬ই সেপ্টেম্বর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদ্রাসার জমি নিলামকে কেন্দ্র করে একিই গ্রামের আব্দুল মালিক ও জাবেদ আলম কোরেশীর পক্ষের লোকদের মধ্যে প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৯ জন গুলিবিদ্ধ সহ ৭০ জন লোক আহত হন।গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ৩৯ জনকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।এদিকে তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে শ্রীধরপাশা গ্রামের নূর মিয়ার পুত্র হাবিবুর রহমান (২৫), জগদীশপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র সিএফ আলম (২৬), খামারখাল গ্রামের আছলম উল্লার পুত্র নুরুল হক (৩৫), একই গ্রামের ধরাজ মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৪০)।বাদীপক্ষের আব্দুল মালিক অভিযোগ করেছেন ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেফতার ও সংঘর্ষে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।এ ব্যাপারে ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, মূল আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার মধ্যে রাতে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn