জামালগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিখা’র প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ টাকার কাজ না করে আত্মসাৎ করায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক নেতা মো. দেলোয়ার হোসেনকে অব্যয়িত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।নির্দেশনাপত্রের অনুলিপি মহাপরিচালক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ঢাকা, বিভাগীয় কমিশনার সিলেট, জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে প্রেরণ করা হয়েছে।জানা যায়, নবগঠিত জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে ‘লম্বাবাঁক হতে পাইবদাড় শচীন্দ্র জাঙ্গাল মেরামত’ করার জন্য ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রথম পর্যায়ে কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। প্রকল্পটিতে কোনো কাজ না করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করায় এ নিয়ে আগস্ট মাসে জামালগঞ্জে আলোচনার ঝর উঠে।
এ ব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আব্দুস শহীদ, ময়না মিয়া, লায়েছ মিয়া, ইউসুফ আল আজাদ, আবু তাহের, মোবারক আলী তালুকদারসহ ১৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ সংবাদটি প্রকাশ হলে প্রকল্প সভাপতি মো. দেলোয়ার ২৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত আবেদনে জানান, বন্যার কারণে প্রকল্পের কাজ করা যায় নি। তবে পানি শুকানোর পর কাজ করা হবে।আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন এ ব্যাপারে আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক লম্বাবাঁক গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মো. দেলোয়ার হোসেনকে পিআইও স্বাক্ষরিত ১২ আগস্ট প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা সরকারি কোষাগারে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। পত্র প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে একক মূল্য পরিশোধ না করলে দ্বিগুণ মূল্য পরিশোধ করতে হবে। যথাসময়ে অব্যয়িত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না করলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn