সুনামগঞ্জ :: জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা দীপক বাবুর বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগ করেছেন  ভুক্তভোগীরা। সম্প্রতি এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর জামালগঞ্জ উপজেলার সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেছেন হেলাল মিয়া, আক্কাস আলী, আলী আহমদ, ইছব আলী, মুন্না আহমেদ, জাহাঙ্গীর আহমেদ, হারিছ মিয়া, সাকা হোসেন, আসকর আলীসহ বিভিন্ন গ্রামের ভুক্তভোগী  ৯ জন বাসিন্দা।  দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসের উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দীপক বাবু সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কৃষকদের পরিবর্তে নিজ আত্মীয় স্বজনদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। উপকারভোগীরা এই কর্মকর্তাকে উৎকোচ না দিলে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় উপজেলার নিয়োগকৃত সার ডিলার, বীজ ডিলার ও কীটনাশক ডিলারদের কোনো রিপোর্ট তৈরিতে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন এই কর্মকর্তা। কীটনাশক নাইসেন্স বাবদ সরকারি খরচ ৩০০ টাকা হলেও  তিনি লাইসেন্স দিতে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এই কর্মকর্তার এমন অনৈতিক কর্মকাÐের উপজেলার কৃষক, সার ডিলার, বীজ ডিলার ও কীটনাশক ডিলারগন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। দীপক বাবুর বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে অভিযোগ করার পরও বিহিত ব্যবস্থা পাচ্ছেনা বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিপক বাবুকে অন্যত্র বদলি করে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।

অভিযোগের অনুলিপি প্রধান মন্ত্রী কার্যালয়, কৃষি মন্ত্রী সচিবালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, সিলেট কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপ পরিচালক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তার বরাবরে দাখিল করা হযেছে।  অভিযোগের ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রশারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বশির আহমদ বলেন, জামালগঞ্জ উপজেলা সকহারি কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn