মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে। বৃহস্পতিবার (০৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় সমাহিত করা হয় আজীবন সংগ্রামী লড়াকু এই নারীকে। সমাহিত করার সময় প্রিয়ভাষিণীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বড় ছেলে কারু তিতাস, ছোট ছেলে কাজী মহম্মদ শাকের (তূর্য্য), মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী, রত্নেশ্বরী প্রিয়দর্শিনীসহ নিকট আত্মীয়-স্বজন ও বিপুলসংখ্যক গুণগ্রাহী। তার মেজো ছেলে কাজী মহম্মদ নাসের কানাডায় অবস্থান করায় উপস্থিত হতে পারেননি। তার আগে বেলা ১১টার দিকে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে প্রথমে তাকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তার মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দে‌র। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শার‌মিন চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ই‌নু ও সৈয়দ আশরাফের পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শ্রদ্ধা নিবেদন ক‌রে। এই মুক্তিযোদ্ধা শিল্পীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহ‌তি আন্দোলন, নারী সংহতি, জাতীয় বিপ্লবী পার্টি, মু‌ক্তি‌যোদ্ধা সংহতি পরিষদ, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর ও গণজাগরণ মঞ্চ। ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্ম নেওয়া ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী গত মঙ্গলবার (৬ মার্চ) রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn