ঢাকা পর্বের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লেজেগোবরে পরিস্থিতিতে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েন মাহমুদউল্লাহরা। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে চিটাগং ভাইকিংসও পড়ে বিপাকে। ২ রানের মাথায় দুই উইকেট আর ২১ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে চিটাগং। চিটাগংয়ের হয়ে সৌম্য সরকার ও লুক রঞ্চি ব্যাট হাতে শুরু করলেও দলীয় এবং ব্যক্তিগত মাত্র ২ রানে আবু জায়েদের শিকার হন রঞ্চি। এরপর ব্যক্তিগত শূন্য রানে সৌম্যকে ফেরান জায়েদ। এ অবস্থা থেকে দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টাকালে মুনবেরাকে দলীয় ২১ রানের মাথায় ফেরান সেই জায়েদ। ব্যক্তিগত ১০ রানে ফেরেন তিনি। চিটাগংয়ের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন ব্রেথওয়েট। ভালো খেলতে থাকা এনামুল হককে দলীয় ৩৮ রানের মাথায় সাজঘরে পাঠান ব্রেথওয়েট। ফেরার আগে এনামুল করেন ১৮ রান। এরপর সিকান্দার রাজাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত ও দলকে জয়ের দিকে নেয়ার চেষ্টা চালান চিটাগংয়ের অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। তবে দলীয় ৯৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৭ রান করা সিকান্দার রাজাকে ফেরত পাঠান সাইফুল ইসলাম। এরপর ১০৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মিসবাহ। ব্যক্তিগত ৩০ রানের মাথায় তাকে ফেরত পাঠান সেই আবু জায়েদ। এ অবস্থায় ইনিংস আর বেশিদূর এগোবে না মনে হলেও লুইস রিচির চেষ্টায় চিটাগংয়ের ইনিংস এগিয়ে যায়। তবে ১৩৭ রানের মাথায় থেমে যায় রিচির ব্যাট। ব্যক্তিগত ২২ রানের মাথায় তাকে ফেরান আর্চার। আর চিটাগংয়ের ইনিংস থামে ১৫২ রানে। খুলনার হয়ে ম্যাচ জেতানো বোলিং করে আবু জায়েদ নেন ৪ উইকেট। এছাড়া আর্চার, সাইফুল ইসলাম ও ব্রেথওয়েট ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭০ রানের সংগ্রহ গড়ে খুলনা। টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় যখন শতক পেরোতেই ধুঁকছিল খুলনা, তখন দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। করেন নির্ভরযোগ্য ৪০ রান। এছাড়া তার সঙ্গী আরিফুল হকও তোলেন ৪০ রান। তবে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ব্রেথওয়েট। ১৪ বলে ৩০ রান তুলে তিনি দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সহায়তা করেন। চিটাগংয়ের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ৩, সানজামুল ২ এবং মুনবেরা ও শুভাশিষ রায় ১টি করে উইকেট নেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn