বিপিএলের প্লে-অফে এলিমিনেটরে খুলনাকে উড়িয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর রাইডার্স। জয়ের পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়েই। একই সঙ্গে বসে কথা বললেন দু’জন। হারের কষ্টটা মাশরাফি নিজেও ভালোভাবে অনুভব করেন। একারণে জাতীয় দলের সতীর্থের পাশেই ছিলেন তিনি। জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনাও দিলেন মাহমুদুল্লাহকে।অন্যদিকে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ের পরও চিন্তায় আছেন মাশরাফি। কারণ গেইল ঝড়তো আর রোজ ওঠে না। ফাইনালে যেতে খেলতে হবে আরো একটি ম্যাচ। ফাইনালে গেলে তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চাপও কম নয়। মাশরাফির চিন্তার কারণ তাদের ব্যাটিং কম্বিনেশন। এ নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘কম্বিনেশনের কথা বললে এখনো আমাদের মানিয়ে নিতে খুব কঠিন হচ্ছে। আজকেও গাজীকে ওপেন করাতে হয়েছে, যেন শেষ পর্যন্ত একজন ব্যাটসম্যান থাকতে পারে। যখন আমরা একজন বাঁহাতি স্পিনার, পেসার বা অফ স্পিনার বাড়াতে চাচ্ছি তখন একজন ব্যাটসম্যানের ঘাটতি হয়ে যাচ্ছে। আবার ব্যাটসম্যান বাড়াতে গেলে একজন বোলারের ঘাটতি হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় বোলাররা টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো করছে এই জন্য আমরা মোটামুটি শেষ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। অন্যথায় আরো কঠিন হতো।’
তাই ক্রিস গেইল ঝড় তুললেও অধিনায়ক মাশরাফিকে আরো বেশি চিন্তায় ফেলেন। গেইলকে নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ক্রিস গেইল যখন মারা শুরু করে তখন আরো উদ্বিগ্ন হতে হয়, বিশেষ করে দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর। হয়তো গাজীর উইকেট তখন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, কিন্তু ম্যাককালাম আউট হয়ে যাওয়ার পরে ও যখন মারছিল তখন ভয় ছিল। অবশ্য রান আসতে থাকলে ড্রেসিংরুম ঠাণ্ডা হতে থাকে। একই সময়ে নিরাপদ জায়গায় না যাওয়া পর্যন্ত চিন্তাটাও কাজ করে। আমরা জানি, বেশিরভাগ ম্যাচই তাদের দুইজনের ওপর নির্ভর করছে। হয়তো রবি বোপারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কিন্তু বড় পার্থক্য গড়ে দিতে নির্ভর করা হয় তাদের দুইজনের ওপর।’ 
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জিততে পারলে ফাইনাল। তখনই মাশরাফির সামনে ধরা দিবে বিপিএলে চতুর্থ শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা। তবে এত দূরের বিষয়ে ভাবতে রাজি নন এ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘এত দূর ভাবছি না। কারণ, একটা দল চালাতে গেলে ভারসাম্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদিও এ পর্যন্ত এসেছি ভারসাম্য নিয়ে কিন্তু সংগ্রাম করেছি। একটা ভালো দল শুধু নাম দিয়েই হয় না, ভারসাম্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে খেলেছি কিছু কিছু দিনে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেউ একজন এগিয়ে এসেছে বলে আমরা এতো দূর আসতে পেরেছি। পরের দুই ম্যাচের কথা আমি বলবো না, পরের ম্যাচটা নিয়ে ভাবছি। টুর্নামেন্টের সেরা দুই দলের একটির বিপক্ষে আমাদের খেলতে হবে। পরের ম্যাচটা দুই দলের জন্যই সমান। যারা নার্ভ ধরে রাখতে পারবে তারাই সুবিধা পাবে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn