সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। যেখানে তিনি জানান, গত ১৭ আগস্ট স্বামীকে নিয়ে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিন সেখানে কোনো বোট খালি না থাকায় অন্যের বুকিং বাতিল করিয়ে তাদের জন্য বোটের ব্যবস্থা করে দেন কেন্দ্রীয় এক যুবনেতা।

মাহির সেই স্ট্যাটাসের পর ভক্ত-অনুরাগীদের রোষানলে পড়েন নায়িকা। তাদের মন্তব্য, ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কাজটি মোটেও ঠিক করেননি ঢাকাই সিনেমার এই তারকা।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মাহি। তার ভাষ্য, যাদের বুকিং বাতিল করা হয়েছিল তাদের অন্য একটি বোট জোগাড় করে দেওয়া হয়েছে। নায়িকা বলেন, ‘সুনামগঞ্জে স্মরণ ভাইয়ার একটি রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে আমরা খেতে খেতে তখন তিনি বলেছেন যে, এটির (বোট) তো বুকিং ছিল। পরে আমরা যে বোটে গেছি সেটা চেঞ্জ করে আরেকটা ম্যানেজ করে দিয়েছে তাদের (যারা বুকিং দিয়েছিলেন)।’

মাহি বলেন, ‘এটা তো জাস্ট শোনা কথা। কিন্তু আমার কাছে এটা অনেক বড় বিষয় লাগছে যে, আমাদের জন্য সে এতটা হেডেক নিয়েছে। একজনের বোট, ওইটা আবার আরেকটি বোট ম্যানেজ করে দিয়েছে। এই যে আমাদের জন্য তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে—বিষয়টি এভাবেই আমি এক্সপ্লেইন করেছি।’

এ নায়িকা আরও বলেন, ‘একটা কৃতজ্ঞতাবোধ জানানোর জন্য পোস্টটি করা। কিন্তু এটা নিয়ে এত নেতিবাচকতা ছড়াবে মানুষ, তা আমি বুঝতে পারিনি। যারা নেতিবাচকভাবে নেয়, আমি চাই তারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করুক। আর যারা সবসময় নেতিবাচকভাবে চিন্তা করে তাদের নিয়ে তো কিছু বলার নেই।’

মাহির যে পোস্টের কারণে সমালোচনার ঝড় ওঠে সেখানে তিনি লেখেন, ‘কোনো রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা হঠাৎ টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু হুট করে চাইলেই সেখানে বোট পাওয়া যায় না। ২০ তারিখের আগে কোনো বোট ফ্রি নেই। আমিও নাছোড়বান্দা, জামাইকে বলছি ১৭ তারিখে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। জামাই দিশা না পেয়ে ফোন করলেন সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাইকে। তিনি অন্যজনের বুকিং ক্যানসেল করিয়ে ১৭ তারিখে আমাদের জন্য বোট রেডি করে দিলেন। বুঝতে পারলাম সুনামগঞ্জে তার বিশাল প্রভাব। ধন্যবাদ ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাই। আপনি ছাড়া এই ট্রিপ ক্যানসেল হয়ে যেত। ’

এ নায়িকা লেখেন, ‘ফারিশসহ আমরা ২২ জন ২ দিন ১ রাত হাওরে অনেক আনন্দ করেছি। সব দায়িত্ব স্মরণ ভাই অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন। ওহ, উনি কিন্তু ছাত্রলীগের জনপ্রিয় সং আমরা ছাত্রলীগেরই সেনা, নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা লিখেছেন এবং গেয়েছেন। ’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn