কক্সবাজারে টেকনাফে বিজিবি সদস্যরা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য পয়েন্ট নাফনদীর স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান জব্দ করেছে। এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন টেকনাফ ২ বিজিবি কর্তৃপক্ষ।জানা যায়, আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা করেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুজ্জামান চৌধুরী। তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুজ্জামান চৌধুরী টেকনাফ সদর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মো. ইব্রাহীম ও ও দমদমিয়ার কোম্পানি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাকের সমন্বয়ে বিশেষ টহল দল নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন নাফনদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়। তা ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে টেকনাফ সদর বিওপি ১৩ লাখ ২ হাজার ৮শ’ ৯৭ পিস এবং দমদমিয়া বিওপি ৫ লাখ ইয়াবাসহ মোট ১৮ লাখ ২ হাজার ৮শ’ ৯৭পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৫৪ কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১শ’ টাকা। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় দমদমিয়া বিজিবি সংলগ্ন চেকপোস্ট এলাকা হতে ৫০পিস ইয়াবাসহ আটক মিয়ানমারের আকিয়াবা জেলার মংডু থানার নিয়ারবিলের বুজুর মিয়ার ছেলে শেখ আহমদকে (২৫) আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেওয়া হলে বিচারক সাজা প্রদান করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি রাজস্ব প্রদান করে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত এলাকায় ট্রলারে হতে এত বিপুল পরিমাণ ইয়াবা আটকের ঘটনায় পুরো টেকনাফে তোলপাড় চলছে। সংরক্ষিত এলাকা ও তদারকির অভাবে এই পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের চালান খালাস এবং পাচারের ঘটনা ঘটলেও বন্দর কর্তৃপক্ষের কঠোর ভূমিকা না থাকায় কৌশলী মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় রয়েছে। বৈধ ব্যবসার আড়ালে কতিপয় রাঘব-বোয়াল দীর্ঘদিন ধরে এই অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn