ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি নিয়োগে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট তার আইনি ক্ষমতাবলে এ নিয়োগ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, সেই হিসেবে তিনি ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার নিয়োগ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ শূন্য হয়ে যায় গত ২৪শে আগস্ট, এটি চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। সেই পদে নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে সাময়িকভাবে ভিসির দায়িত্ব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট তিনজনের একটি প্যালেন নির্বাচন করে প্রেসিডেন্টকে দিতে পারে। সেখান থেকে প্রেসিডেন্ট একজনকে ভিসি করতে পারেন, নাও করতে পারেন। বাইরে থেকেও তিনি নিয়োগ দিতে পারেন। প্রেসিডেন্ট আইনি ক্ষমতাবলে নিয়োগ দিয়েছেন, নিয়োগে শর্ত যা লেখা থাকে তাই লেখা হয়েছে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। সিনেট সভায় ভিসি প্যানেল নির্বাচনের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একটি মিটিং হয়েছিল। কিন্তু মামলা হয়ে সেই প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত আছে। ভিসি পদটি তো খালি হয়ে ছিল। অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে নিয়োগের আদেশে সাময়িকভাবে নিয়োগের কথা বলে যেসব শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে- সে বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে নাহিদ বলেন, একজন সহকারীকে সাময়িক দায়িত্ব দিলে যেমন তাকে ভারপ্রাপ্ত বলা হয়, অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের নিয়োগ তেমন নয়। এটি ফরমেটের মতো। আরেফিন সিদ্দিক যখন প্রথম দফায় সাময়িকভাবে ভিসি হলেন, তখন ওই শর্তগুলোই লেখা ছিল। সাময়িক নিয়োগ হলেও চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়ার সময় যেসব শর্ত থাকে, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রেও তা-ই আছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn