সাবেক প্রধানমন্ত্রী খা‌লেদা জিয়ার অসুস্থতা বেড়েছে। মায়ের এই পরিস্থিতিতে তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমা‌ন লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে তা‌রেক রহমা‌ন দেশে আসলেই ফিরবেন কি না সে বিষয়ে জানেন না বিএনপির কোনও পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নেতা। জানা যায়, তা‌রেক রহমানের হালনাগাদ বাংলা‌দেশি পাস‌পোর্ট না থাকায় তা‌কে লন্ডন থে‌কে বাংলা‌দে‌শে ফি‌র‌তে হ‌লে দ্রুত ট্রাভেল ডকু‌মেন্ট অথবা ব্রিটিশ পাস‌পো‌র্টের ক্ষে‌ত্রে লন্ডনস্থ বাংলা‌দেশ হাইক‌মিশ‌নে ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ সিল‌মোহ‌রের জন্য আবেদন কর‌তে হ‌বে।

কিন্তু এ ব‌্যাপা‌রে তারেক রহমানের পক্ষ থে‌কে লন্ডনস্থ বাংলা‌দে‌শ হাইকমিশ‌নে কোনও আবেদন করা হ‌য়নি। লন্ডনস্থ বাংলা‌দেশ হাইক‌মিশ‌নের প্রেস মি‌নিস্টার আ‌শিকুন নবী চৌধুরী এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারেক রহমানের আবেদন সংক্রান্ত কোনও তথ্য লন্ডনস্থ বাংলা‌দেশ হাইক‌মিশ‌নের কা‌ছে নেই। তবে যুক্তরাজ্য বিএন‌পির শীর্ষ নেতারা গত ক‌য়েক বছর ধ‌রেই দাবি করছেন, তা‌রেক রহমানের দে‌শে ফেরার প্রস্তু‌তি চল‌ছে।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বলেন, তারেক রহমান দ্রুতই দে‌শে ফিরবেন। কিন্তু কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে ফেরার আ‌গে আপনারা জানতে পারবেন।’ আর যুক্তরাজ‌্য বিএন‌পির সভাপ‌তি এম এ মালিক বলেন, ‘তা‌রেক রহমান দ্রুতই দে‌শে ফির‌তে চান। উনার দে‌শে ফেরার প্রস্তু‌তি চল‌ছে‌।’

স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান‌কে নি‌য়ে লন্ড‌নের কিংস্টন এলাকার এক‌টি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন তা‌রেক রহমান। পা‌শের এক‌টি বাড়িতে থাকেন তার ছোট ভাই মরহুম আরাফাত রহমান কো‌কোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিথি ও তার দুই কন‌্যা। ২০০৮ সা‌লে ব্রিটেনে আসার পর দেশটির কাছে রাজ‌নৈ‌তিক আশ্রয়ের আবেদন করেন তা‌রেক রহমান।

তার সে সময়কার শারী‌রিক, রাজ‌নৈ‌তিক অবস্থা বি‌বেচনা ক‌রে ব্রিটে‌নের ইমি‌গ্রেশন বিভাগ তাকে সে দেশে বসবা‌সের অনু‌মোদন দেয়। ওই প্র‌ক্রিয়া শে‌ষে ব্রি‌টে‌নের বিদ্যমান ই‌মি‌গ্রেশন আইন অনুযায়ী ২০১৩ সা‌লে দেশটিতে স্থায়ীভা‌বে বসবাসের অনু‌মোদন পান তা‌রেক রহমান। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান। এছাড়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn